বছর ঘুরলেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মাঠে নামল বিজেপি। বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকে দেওয়াল লিখন শুরু বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের এমন কর্মকাণ্ডকে কটাক্ষ ঘাসফুল ও বাম শিবিরের।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল গেরুয়া শিবির। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি আসনেই জয়লাভের পাশাপাশি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি ছিনিয়ে নিয়েছিল পদ্মফুল শিবির।
তবে পরবর্তীতে নিজেদের জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। দুই বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি পঞ্চায়েত, পুরসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের জমি হারাতে হয় বিজেপিকে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই আগে থেকেই প্রচারে নেমে পড়ল বিজেপি। বাঁকুড়া-১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হলো দেওয়াল লিখন। বিজেপির দাবি, রাজ্যের মানুষের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটবে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে।
তবে বিজেপির এই কর্মকাণ্ডকে অবশ্য পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল ও বামেরা। তৃণমূলের দাবী, সংবাদমাধ্যমে প্রচারে আসার জন্যেই এ সব করছে গেরুয়া শিবির। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে শেষ হাসি তৃণমূলই হাসবে। অন্যদিকে বামেদের দাবী, রাজ্যের রাজনীতিতে তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ করছে।
বাঁকুড়া বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘জেলার মানুষকে সচেতন করতেই আমরা দেওয়াল লিখন শুরু করলাম। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ প্রমাণ দেবে তাঁরা কী চাই।’
বাঁকুড়া ১ নম্বর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঁকুড়া জেলায় বিজেপি-র কোনও অস্তিত্ব নেই। দেওয়াল লিখন নিয়ে নাটক শুরু করেছে। মূলত সংবাদমাধ্যেমে প্রচারে আসতেই এই পরিকল্পনা।’