• আইপ্যাক থেকে এসেছি বললে *** নম্বরে যাচাই, আমার অফিস থেকে এলে…সতর্ক করলেন অভিষেক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে দলের তরফে প্রচুর নেতানেত্রী উপস্থিত ছিলেন। মূলত ভোটার লিস্টে থাকা ভুয়ো ভোটার রুখতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটাই তিনি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। তবে সেই সঙ্গেই আইপ্যাকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলেন তিনি। 

    সূত্রের খবর, অভিষেক জানিয়ে দেন,' আমার অফিসের ও আইপ্যাকের নাম করে পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অনেক অভিযোগ এসেছে। অনেক গ্রেফতার হয়েছে। নম্বর দিচ্ছি ৮১৪২৬৮১৪২৬। যদি কেউ বলে আইপ্যাক থেকে এসেছি এই নম্বরে ভেরিফাই করে নেবেন। '

    সেই সঙ্গেই অভিষেক সতর্ক করে দেন, ‘আমার অফিস থেকে গেলে আগাম বার্তা যাবে জেলা সভাপতির কাছে। না হলে তাকে এন্টারটেন করবেন না। আমার অফিসে রিপোর্ট করবেন।’ সতর্ক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

    এদিকে গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের একাধিক নেতা আইপ্যাকের নাম করে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করছিলেন। সেই তালিকায় তৃণমূলের এক সাংসদ ও এক বিধায়ক ছিলেন। তবে এবার এনিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘আইপ্যাককে নিয়ে এই সব উল্টোপাল্টা কথা বন্ধ করতে হবে।’ তবে এক্ষেত্রে তিনি কারোর নাম উল্লেখ করেননি। 

    এদিকে চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহ। মুখ খুলেছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। সেবার একেবারে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল আইপ্যাকের নাম। 

    মদন মিত্র সেবার বলেছিলেন, আমাদের পার্টিতে এসব কিছু ছিল না। টাকাপয়সা, লেনদেন। এই একটা এজেন্সি আমাদের পার্টিতে ঢুকল, ভোট কুশলী সংস্থা। তারা নাকি জিতিয়ে দেবে। আমি কামারহাটিতে আমায় শেখানো হচ্ছে সকালে উঠে কীভাবে ব্রাশ করবে। তারপর ডানদিকে তাকাবে নাকি বাঁ দিকে তাকাবে। এাা শুরু করল নাম কালেক্ট করে টাকা তোলা। এরাই গোটাটা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অজান্তে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছেলে তাদের কেউ ২৫ লাখ, কেউ ৫০ লাখ দিয়েছে।

    কাকে দিয়েছে? প্রশ্ন করা হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের তরফে। 

    মদন মিত্র বলেছিলেন, এজেন্সির ছেলেদের। আইপ্যাকই ছিল তখন। তারা কেউ নমিনেশন পায়নি। লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছে না। এত বড় বড় নাম তাদের। কোথায় আইপ্যাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো বলেননি তোমরা আইপ্যাকের হাতে টাকা দাও। কোথাও তো বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন যারা কাটমানি নিচ্ছে যে কেনার চেষ্টা করছে, তৃণমূলের শিরদাঁড়া বিক্রি হয় না, টাকার কাছে বিক্রি হয় না।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কি আপনার কথা শুনে দুঃখিত হয়েছেন? প্রশ্ন করেছিল সংবাদমাধ্য়ম

    মদন মিত্র বলেছিলেন, আমায় তো উনি বলেননি। আর আমি অনেক ক্ষুদ্র। কিন্তু আমার বিবেকের কাছে দংশিত হচ্ছি। অনেকে আমায় বলছেন তোমার কথার মানেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করছে। কিন্তু এই আইপ্যাক আসার আগে আমাদের এত টাকার দরকার হত না। এত সাজানো স্টেজ। যতবার জিতেছি..মমতা যে সাতবার জিতেছেন তখন আইপ্যাক কোথায় ছিল! …ঠিক আছে আইপ্যাক এসেছে তাদের সাধ্যমতো কাজ করেছে। পার্টি থেকে যদি নেওয়া হয় আইপ্যাককে তবে ওরা কাজ করবে। তবে আমার সঙ্গে কারোর ডিসপিউট নেই। মমতাকে বাদ দিয়ে যদি কোনও চক্রান্ত হলে মদন মিত্র চুপ করে বসে থাকবে না। বরদাস্ত করবেন না।

    টাকার খেলা করছে কারা? সংবাদমাধ্য়মের এই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছিলেন মদন। 

    মদন বলেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিশ্বাসই করতে পারেননি। করেছে গুজরাট, বিহার থেকে আসা লোকজন। আমাদের লোকজনকে বধ করেছে। একটা কলেজ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কে হবেন সেটা নিয়ে ১৮ বার রিসার্চ হয়েছে। …

    আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেলফি নেওয়ার সময়ও সতর্ক থাকতে।' 

    তবে এবার কার্যত ভুয়ো আইপ্যাক নিয়ে সতর্ক করলেন অভিষেক। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)