• বেলগাছিয়ার গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, তদন্ত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • টালা থানার অন্তর্গত বেলগাছিয়া এলাকায় পিঙ্কি কুমারী নামের এক বধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে এখন তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্বামী রোহিত চৌধুরী এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পিঙ্কি কুমারীকে খুন করেছে বলে বধূর বাপেরবাড়ির অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পিঙ্কি দেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলেও বাপেরবাড়ির সদস্যদের দাবি, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। আর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে আত্মহত্যা বলে মনে হয়।

    এই ঘটনা নিয়ে এখন বধূর বাপেরবাড়ির সদস্যরা পুলিশের উপর চাপ তৈরি করেছে। এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে কেউ পলাতক নন। সকলে উপস্থিত আছেন। তাই পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। পিঙ্কির পরিবারের আরও অভিযোগ, স্বামী রোহিতের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তার জেরেই তাঁদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পিঙ্কির শ্বশুর বিজয় চৌধুরী এবং শাশুড়ি গায়ত্রী দেবী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। যদিও পুলিশ কারও অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করতে পারে না বলে বধূর পরিবারকে জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে যদি তাঁদের অভিযোগের সত্যতা উঠে আসে তাহলে গ্রেফতার করা হবে।


    পরিবার সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ১৮ মার্চ পিঙ্কি কুমারী এবং রোহিত চৌধুরীর মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের একটি দুই বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। সে এখন তার বাবার কাছে আছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশে ছয়লাপ হয়েছে এলাকা। পিংকির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রোহিত চৌধুরী কদিন আগে এবং বহুবার পিঙ্কির পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, পিঙ্কিকে হত্যা করার আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা। সেই আশঙ্কাই সত্য হল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে। রোহিতের পরিবার এবং সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে। গোটা ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু হয়েছে।

    পিঙ্কির এক জামাইবাবু আছেন। নাম অজয় প্রসাদ। ওই জামাইবাবুর বাড়ি ভদ্রেশ্বর এলাকায়। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে কর্মরত। পিঙ্কির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর অভিযোগ, ১৩ মার্চ রাতে পিঙ্কিকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরের দিন সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর সকলের কাছে আসে। পিঙ্কির বাবা টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ওই জামাইবাবু কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি। পিঙ্কির পরিবারের মারাত্মক দাবি, পুলিশ আসার আগেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিঙ্কির ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে ফেলে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সঠিক বিচারের দাবি করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)