• জল ধরো জল ভরো প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা, সোনম ওয়াংচুকের চোখে বাংলা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত একাধিক প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকেও চাপে পড়ে স্বীকৃতি দিতে হয়েছে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, উৎকর্ষ বাংলা এবং স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পও বিশ্বমঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে বাংলা পিছিযে দিয়েছে বহু রাজ্যকে। ভারী শিল্পের ক্ষেত্রেও প্রথম তিনজনের মধ্যে রয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। এই তথ্য দিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকারই। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করলেন লাদাখনিবাসী পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। সুতরাং আরও একটি প্রকল্প এখন বেশ চর্চিত।

    সম্প্রতি গুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে খুব ভাল কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ। এই কথা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ বিরোধীরা বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় কুৎসা, অপপ্রচার করে বলে দাবি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। সেখানে এই দরাজ প্রশংসা বাড়তি অক্সিজেন বয়ে নিয়ে এল। পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক বলেন, ‘‌জল সংরক্ষণ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সেই কাজটাই করছে খুব গুরুত্ব সহকারে। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে প্রশংসার দাবি রাখেন।’‌


    ইতিমধ্যেই গ্রামবাংলায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠা করার পরই সূচনা করেছিলেন ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের। সেটাই এখন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে শহরের বুকে এখনও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়নি। সেই কাজ চলছে বলে খবর। আগামী দু’‌বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। জলসংকট ক্রমাগত তীব্র আকার নিচ্ছিল দেশজুড়ে। ২০১১–১২ অর্থবর্ষে মুখ্যমন্ত্রী বৃষ্টির জল সঞ্চয় এবং সেটা সংরক্ষণের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার পূর্ণ করার বার্তা দেন। তখনই ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের সাফল্য লাভ করতেই কালনা–২, বর্ধমান–২, মঙ্গলকোট, মেমারি, পূর্বস্থলীর মতো জায়গাগুলি সংকটজনক অবস্থা থেকে ‘সেমি ক্রিটিক্যাল’ স্তরে উঠে এসেছে।

    ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খানের চরিত্রটা এই ব্যক্তির চরিত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। সেই সোনম ওয়াংচুক বাংলার সরকারের কাজ নিয়ে বক্তব্য, ‘‌পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কুর্নিশ। জল সংরক্ষণ, অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার এবং পরিবেশ সংরক্ষণের কাজকে তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। গোটা দেশব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় এই কাজ অত্যন্ত জরুরি।’‌ তাঁর আশঙ্কা,শুধু বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রত্যেক বছর ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ লক্ষ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)