• অভিষেকের মেগা বৈঠকের আগে একমঞ্চে সুজিত–সব্যসাচী, কোন দাওয়াই দেওয়া হবে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • রাজনীতির ময়দানে তাঁরা একই দল করলেও একে অপরের যুযুধান। সম্পর্কও তেমনই। একজন আর একজনকে সহ্য করতে পারেন না। বিধাননগরের মতো এলাকায় কে বড় নেতা এবং কার ক্ষমতা কত বেশি সেই শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা যেত দু’‌জনের মধ্যে। তার জেরে বিধাননগর এলাকায় বোমাবাজি থেকে শুরু করে মারামারি তাঁদের অনুগামী যাঁরা তাঁদের মধ্যে দেখা যেত। একজন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী। আর একজন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান। হ্যাঁ, একজন সুজিত বসু এবং অপরজন সব্যসাচী দত্ত। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেগা বৈঠকের আগে তাঁরা একমঞ্চে একসঙ্গে এলেন। কারণ অভিষেক এই গোষ্ঠীকোন্দল পছন্দ করেন না।

    আজ, শনিবার বিকেলে যে মেগা বৈঠক আছে সেখানে কার সঙ্গে কার সমস্যা আছে সেটা সকলের সামনে নিয়ে আসা হবে। তাতে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন বলে সূত্রের খবর। এই সমস্যায় বা বিড়ম্বনায় যাতে পড়তে না হয় তাই যুযুধান প্রতিপক্ষ দোল উৎসবকে কাজে লাগালেন। দোলের একটি অনুষ্ঠানে দু’‌জনেই এসে হাজির হলেন। এই ঘটনা সবাই দেখলেন। একে অপরের পাশে বসলেন। তাঁদের মধ্যে সেভাবে কোনও কথা হল না। শুধু হাসিতেই বিষয়টি থেমে থাকল। প্রত্যেকেরই একটা বার্তা, ‘‌বুড়া না মানো হোলি হ্যায়।’‌ কিন্তু তাতে কি নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মিটল?‌ উত্তর এই বিষয়ে কেউ দেননি। তবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে একমঞ্চে সবপক্ষ এসে হাজির হলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।


    এদিকে ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই অনেকেরই স্নায়ু এখন কাঁপছে। কারণ এখানে যে দাওয়াই দেওয়া হবে তা পৃথক পৃথকভাবে। সেটা আবার উপস্থিত সকল নেতার সামনেই হবে। সুতরাং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাযের কাছে যে সব খবর আছে সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে। আর তাতে অনেকের উপর কোপ পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে বৈঠকের কথা থাকলেও নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর এটা নিয়েই অনেকে ভয় পাচ্ছেন। সব সাংসদ, সব বিধায়ক, জেলা পরিষদের সব সদস্য,জেলা সভাপতিরা এবং কলকাতা–সহ সকল পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    অন্যদিকে এই বৈঠক বিস্তারিত করার জন্য দু’‌বার তারিখ বদল হয়েছে। পেশাদার সংস্থা আইপ্যাকের কাছ থেকেও প্রত্যেকের সম্পর্কে রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে অভিষেকের কাছে। এটা জানতে পেরেই দোলের দিন একমঞ্চে চলে এলেন সুজিত–সব্যসাচী। তাঁরা জানেন, নিজেদের মধ্যেকার বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করলে রোষানলে পড়তে হবে। কোনও অজুহাত এবং একে অপরের মতো দোষারোপ করে অভিষেকের কাছে লাভ হবে না। তাই রাজ্যের মন্ত্রী এবং পুরসভার চেয়ারম্যান একমঞ্চে এলেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‌ওই বৈঠকে শুধু ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে কথা শুরু হলেও উঠে আসবে অনেক কিছুই। কারণ, অভিষেক যেভাবে সবাইকে বৈঠকে ডেকেছেন তাতে শুধু ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে আলোচনার জন্য নয়।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)