• ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে খুন, দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, গ্রেফতার এক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পিকে এবং তাঁর স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ওই বাড়িতে থাকতেন তাঁর মেয়েরা। পিকে’‌র সল্টলেকের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তা নিয়ে এখন আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বাড়ির এক কেয়ারটেকারের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সল্টলেকে। দু’‌জনের মধ্যে মারামারির জেরে একজন আর একজনকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের ধারণা, একজন গাড়িচালক অন্য় একজন কেয়ারটেকারকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে।

    এদিকে গাড়িচালকের সঙ্গে বচসার জেরে খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। অভিযুক্ত গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই চালককে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। পিকে বন্দ্যোপাধ্য়ায় ২০২০ সালে প্রয়াত হয়েছেন। এখন মদ্যপান করা নিয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে বিবাদ লাগে। সেখান থেকেই মারধর এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। ওই বাড়িতেই শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ির পরিচারককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার জন্যই রক্তাক্ত হয় ওই পরিচারক। বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


    অন্যদিকে দোলের দিন মদ খাওয়া নিয়ে বিবাদ বাধে বাড়ির গাড়িচালক বরুণ ঘোষের সঙ্গে পরিচারক ভগীরথ মুহুরির। ওই বিবাদ থেকে বচসা এবং তা থেকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের জেরে মৃত্যু হয় পরিচারক ভগীরথ মুহুরির অভিযোগ। মাঝরাতে অস্ত্র নিয়ে ভগীরথের উপর আক্রমণ করে বরুণ ঘোষ। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকায় ওই আঘাত আটকাতে ব্যর্থ হয় ভগীরথ। আর তার জেরেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। এলোপাথাড়ি কোপানো হয় ভগীরথকে। আর তাতেই রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ভগীরথ। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন লোকজন।

    আজ, শনিবার সকালে খবর পেয়েই ওই হাসপাতালে এবং বাড়িতে পুলিশ পৌঁছে যায়। জাতীয় দলের প্রয়াত ফুটবলার এবং কোচের বাড়িতে এমন ঘটনায় এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সল্টলেকের জিডি ব্লক সম্ভ্রান্ত এলাকা পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। এই বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দোলের দিন এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তদন্তে নেমে বরুণ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিছকই মদ খাওয়া নিয়ে গোলমাল নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)