• চার বছরের শিশুকে ট্রলি ব্যাগে ভরলেন নন্দীগ্রামের শিক্ষক, কারণ শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন
    এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • ফের শিরোনামে ট্রলি ব্যাগ। এ বার চার বছরের এক শিশুপুত্রকে অপহরণ করে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক গৃহশিক্ষকের। অভিযুক্ত শিক্ষক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলাও রয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের শিমুলকুণ্ডু গ্রামের ঘটনা। ওই শিক্ষকের দাবি, ধারের টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের দাবি, ‘ওই বাচ্চাকে বাড়িতে আটকে রেখে টাকা আদায় করে নেব ভেবেছিলাম। এ ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।’

    নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ার কাঁটাখালি এলাকার ওই শিক্ষক বাড়িতে টিউশন পড়ান। চার বছরের শিশুর নাবালিকা দিদিকেও পড়াতেন তিনি। ওই নাবালিকার মা-বাবা পাউরুটি বিক্রি করেন। দিদির কাছেই বাড়িতে থাকে ছোট ভাই। অভিযোগ, শুক্রবার ভোরে তাদের বাবা-মা বেরিয়ে গেলে, ওই গৃহশিক্ষক বাড়িতে ঢুকে শিশুর মুখে কাপড় গুঁজে তাকে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে যান।

    যাওয়ার আগে ৯ বছরের ওই শিশুকন্যার হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন বলেও অভিযোগ। পরে ওই নাবালিকার চিৎকারেই এলাকার লোকজন আসেন। সবটা জানাতেই হইচই শুরু হয় এলাকায়। অভিযোগ, এর পরই নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ঘোলপুকুরিয়ার কাছে ট্রলি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান শিক্ষক ও তাঁর সঙ্গীরা। যদিও পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

    অভিযুক্ত শিক্ষক জানান, তিনি ওই নাবালিকার বাবাকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না। তাই এক বন্ধুর পরামর্শে এই ঘটনা ঘটান।

    পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘শিশু অপহরণের ঘটনায় তদন্তে নেমে মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে তিন জন মহিলা রয়েছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।’ শনিবার ধৃতদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

  • Link to this news (এই সময়)