• ‘আমি ওর ফাঁসি চাই’, নদিয়ায় সন্তান হত্যার ঘটনায় স্বামীর চরম সাজা চাইলেন স্ত্রী
    এই সময় | ১৫ মার্চ ২০২৫
  • নিজের চার বছরের সন্তানকে আছাড় মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে জলঙ্গি নদীতে ছুড়ে ফেলে দেয় বাবা। এমন নৃশংস ঘটনায় স্বামী বুদ্ধদেব ঘোষের ফাঁসি চাইলেন স্ত্রী বর্ষা ঘোষ। নদিয়ার ধুবুলিয়া থানা এলাকার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বুদ্ধদেব ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেয়ের মৃত্যুতে স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী। স্বামীর গ্রেপ্তারির পর বর্ষা বলেন, ‘আমি ওঁর ফাঁসি চাই। ও আমাদের উপর অত্যাচার করত।’

    বর্ষার অভিযোগ,মদ খেয়ে প্রতিদিন তুমুল অশান্তি করতেন বুদ্ধদেব। শুধু তাই নয়, শারীরিক অত্যাচার করা হতো বলেও অভিযোগ স্ত্রীর। তাঁর অভিযোগ, দোলের দিন চূড়ান্ত মদ্যপান করে বাড়িতে ফিরেই স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চার বছরের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিতে গেলে স্ত্রীর হাত থেকে নিজের সন্তানকে কেড়ে নেয় স্বামী।

    স্বামীর কাছে সন্তান রেখেই স্ত্রী বর্ষা নদিয়ার কোতোয়ালি থানার চর শম্ভু নগর গ্রামে বাপের বাড়িতে চলে যান। রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ লোক মুখে বর্ষা জানেন তাঁর সন্তানকে জলঙ্গি নদীতে ফেলে দিয়েছেন স্বামী। মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বামী বুদ্ধদেব ঘোষের বিরুদ্ধে ধুবুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী বর্ষা ঘোষ। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে স্ত্রী বর্ষা দাবি করেন, বাড়িতে থাকলে হয়তো মেয়েকে এভাবে মরতে হতো না।

    প্রসঙ্গত, শনিবার জলঙ্গী নদী থেকে মৃত শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়। নিজের শিশুকে নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত বুদ্ধদেবকে আটকে রেখেছিলেন। পরে ধুবুলিয়া থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

  • Link to this news (এই সময়)