ফের গেরুয়া শিবিরে বড় ধাক্কা। তাপসী মণ্ডলের পর এবার প্রায় ডজন খানেক বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছে। বিধানসভা ভোটের আগে যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা। উত্তরবঙ্গের অন্যতম নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কুনাল ঘোষ একই দাবি করেছেন।
কয়েকদিন আগে কুনাল ঘোষ বলেছিলেন, বিজেপির অন্তত ৪ জন সাংসদ তৃণমূলে আসার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। একঝাঁক বিধায়কও তৈরি হয়ে রয়েছেন দল বদলানোর জন্য। কুনালের সেই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর চাপানউতোর। এবার আসরে নেমেছেন রবীন্দ্রনাথ।
নাটাবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর দাবি, ১২ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন। এবিষয়ে ঐসব বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা চলছে বলে তিনি দাবি করেছেন। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিককে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এব্যাপারে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘কোচবিহারে তিনজন বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাঁরা নিজেরাই আলোচনা করে ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন। এখন দেখা যাক বিষয়টা কী দাঁড়ায়!’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অনেক বিজেপির এমএলএ রয়েছেন যাঁরা আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে। আমার ধারনা, উত্তরবঙ্গে ১০-১১ জনের বেশি বিধায়ক ঠিক নির্বাচনের আগে দল পরিবর্তন করবে। সংখ্যাটা এক ডজনও হতে পারে।’
রবীন্দ্রনাথ দাবি করেছেন, ‘ওই বিধায়করা গত চার বছরের মধ্যে কোনও কাজ করতে পারেনি। দিল্লি থেকে একশো দিনের টাকা আনতে পারেনি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আলাদা কোনও ফান্ড আনতে পারেনি। মানুষের কাছে যেতে পারেনি। কারণ তাঁরা উন্নয়ন কিছুই করতে পারেনি। ওরা যদি এরপরেও রাজনীতি করতে চায়, বিধায়ক হতে চায় তাহলে তাঁদের দলটা পরিবর্তন করতেই হবে।’
যদিও কুনাল ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপির নেতা ও বিধায়করা। তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের নেতা রবীন্দ্রনাথের এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিজেপির উত্তরবঙ্গেরই আর এক নেতা ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি উল্টে দাবি করেছেন, তৃণমূলেরই বিধায়করা দল বদল করে বিজেপিতে নাম লেখাতে চাইছে। শঙ্করবাবু মন্তব্য করেন, ‘হতাশা খেকে রবীবাবু এমন কথা বলছেন কিনা আমি বলতে পারব না। তবে আমার কাছে উল্টো খবর আছে। ওনাদের দলের সঙ্কটের কারণে অনেকেই টিকিট পাওয়া নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। ২৬শে যেহেতু তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা কম, তাই এখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ইট পেতে রয়েছেন।’