সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: মারধরের পর স্ত্রীকে গামছায় বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। তাঁর ছেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন মৃত বধূর মা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম করুণা মজুমদার। তিনি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বোয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত জামাই তারক মজুমদার নেশা করেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি করুণাকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। দিনের পর দিন অত্যাচার চলত। শনিবার সকালে বধূর পরিবারকে খবর দেওয়া হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ছুটে এসে দেখেন ঘরের মধ্যে গামছার সঙ্গে ঝুলছে বধূ । তাঁরাই কৃষ্ণগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে করুণাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গৃহবধূর মা প্রমিলা রায় কৃষ্ণগঞ্জ থানায় জামাই ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রমিলা দেবী বলেন, “নেশা করে মেয়েকে প্রতিনিয়ত মারধর করত জামাই। এদিন মারধরের পর গামছা দিয়ে মেয়েকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” মৃত গৃহবধুর বোন ইতিকা রায় বলেন, “দিদির উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাত তারক মজুমদার। ওর ফাঁসি চাইছি।” মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্যে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।