• মালদায় হারের জন্য দলের ‘ঝগড়ুটে’ নেতাদেরই তুলোধনা করলেন ক্ষিপ্ত অভিষেক!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ মার্চ ২০২৫
  • একটা লম্বা বিরতির পর শনিবারের মতোই দলের 'বেয়াড়া ছাত্র'দের তুলোধনা করেছেন তিনি।

    গত লোকসভা নির্বাচনে সামগ্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গে দুরন্ত ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, তার মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, মালদা, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি-সহ একাধিক আসনে দলের পরাজয় নেতৃত্বের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এবং এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই হারগুলির জন্য দলীয় কোন্দল একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    এই সমস্যা অভিষেকেরও অজানা নয়। বিশেষ করে মালদার দু'টি আসনে দলের পরাজয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। একথা ঠিক যে মালদা বরাবরই তৃণমূলের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে থেকেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এবারের হারের নেপথ্য়ে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে বলেই মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলার একটি কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং আরও একটি কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছে।

    শনিবারের বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উঠতেই স্থানীয় নেতৃত্বকে কার্যত ধুয়ে দেন অভিষেক। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে অন্য দলকে সুযোগ করে দিয়েছেন আপনারা। বিজেপি, কংগ্রেস ভুল প্রচার করেছে। আপনারা কেউ কাউন্টার করেননি। অন্য দলকে সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা ব্যর্থ হয়েছি মালদায়।...'

    তিনি আরও বলেন, 'মালদায় ফল খারাপ হওয়ার জন্য জেলা নেতৃত্ব, ব্লক নেতৃত্ব দায়ী। আপনারা মন্ত্রী হয়েছেন, পদ পেয়েছেন, কিন্তু ভোটের কাজে পিছিয়ে থেকেছেন। যুদ্ধের সময় যে মায়ের সঙ্গে বেইমানি করে, সে তৃণমূলের কর্মী নয়।'

    এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের দু'টি আসনে পরাজয় নিয়ে ক্ষোভ ঝরে পড়েছে অভিষেকের গলায়। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় যে বিশেষ রণকৌশল অবলম্বন করে এগোতে হবে, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    অভিষেক বলেন, 'কাঁথিতে আরেকটু জোর দিয়ে ঝাঁপালে এই আসন জিততাম।... পূর্ব মেদিনীপুরে বিশেষ নজর দিতে হবে। বৈঠক ডাকব। ১৬টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৯টিতে জিতেছি। চিহ্নিত করে ১২টিতে জিততে হবে। ওখানে ঠিক নির্বাচনের দু'দিন আগে এনআইএ আমাদের নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছে। আইনত আমরা লড়াই করেছি। এজেন্সি, বাহিনী সবার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। মানুষকে আরও সতর্ক করতে হবে। এই যে তমলুকে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী, এই ১০ মাসে বাংলার স্বার্থে তমলুক আর কাঁথির সাংসদ দিল্লি গিয়ে বলেছেন আবাসের টাকা ছাড়ুন? জব কার্ড হোল্ডাদের টাকা ছাড়ুন?দিল্লির প্রভুদের কীভাবে খুশি করা যায়, সেই কাজ করছেন তাঁরা। আগেরবার আমি গিয়েছিলাম দিল্লিতে। আমাদের এবার আরও লড়াই করতে হবে। এদের গণতান্ত্রিকভাবে বিবস্ত্র করে স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)