এই সময়: দোলের পরদিন, শনিবার সকালে আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। কোনও কোনও এলাকায় তো মনে হচ্ছিল, বৃষ্টি এল বলে। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে বেলা বাড়তেই রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গরম। যার জেরে ভরা বসন্তে হাঁসফাঁস অবস্থা। আগামী দু’তিনদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই আবহাওয়া মোটের উপর এমনই থাকবে বলে পূর্বাভাস। শুকনো, তীব্র গরমে নাকাল হতে হবে বাসিন্দাদের। তাপপ্রবাহের সতর্কতাও রয়েছে পাঁচ–ছ’টি জেলায়।
বৃহস্পতিবার থেকে অবশ্য বড়সড় বদল আসতে চলেছে বলে আবহাওয়া অফিসের খবর। আগামী ২০ ও ২১ মার্চ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা পশ্চিমাঞ্চলে।
তবে কলকাতায় আজ, রবিবার উষ্ণ দিন ও উপকূলের জেলাগুলিতে থাকবে ভ্যাপসা গরম। বুধবার থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে।
আজ, রবিবার বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় তাপপ্রবাহের আভাস রয়েছে। সোমবার তাপপ্রবাহ থেকে বাদ থাকতে পারে পুরুলিয়া। আর বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের কোথাও কোথাও আজ পারদ ৪০ ডিগ্রির গণ্ডিও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আলিপুরের পূর্বাভাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশি থাকবে।
পাশাপাশি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আজ স্বাভাবিকের তুলনায় তিন–চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে তাপমাত্রা। যার জেরে শনিবারের মতোই গরমে নাজেহাল হবেন মানুষ। কলকাতা, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে এমন পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, অসম ও রাজস্থানে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পূর্ব বাংলাদেশের দিকে। যার আংশিক প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে কিছুটা মেঘের সঞ্চার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে। এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার নামবে বৃষ্টি। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে নানা জেলায় বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টির ফোরকাস্ট থাকছে।