এই সময়: ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে গত সোমবার বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আগামীকাল, সোমবার বিকেলে ইফতারে যোগ দিতে ফুরফুরা শরিফে যাচ্ছেন তিনি। সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত এই ইফতারের ফাঁকে ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গেও একান্তে তাঁর বৈঠক হতে পারে।
আগামী বছর রাজ্য বিধানসভার ভোট। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর নওশাদের সঙ্গে বৈঠক, ফুরফুরা শরিফের ইফতারে যোগ দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ। রাজ্যের সংখ্যালঘু মহল্লায় ফুরফুরা শরিফের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এই নিয়ে তৃতীয়বার ফুরফুরা যাচ্ছেন মমতা। প্রথমবার যান ২০১২ সালে। দ্বিতীয়বার ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তিনি ফুরফুরায় পা রেখেছিলেন। এরপর আগামী সোমবার ইফতারে যোগ দিতে তিনি সেখানে যাবেন। ইতিমধ্যেই পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের কর্তারা হাজির হয়েছেন সেখানে।
সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্য ঘিরে যে চর্চা শুরু হয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো ভাবে নেননি। ইতিমধ্যেই হুমায়ুনকে শোকজ় করেছে পরিষদীয় দল। সূত্রের খবর, ফুরফুরার যাঁরা পীর রয়েছেন তাঁদের মনোভাব এবং সেখানকার উন্নয়ন নিয়েই ইফতারের ফাঁকে মমতা আলোচনা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।