• ভিড়ের হাত ধরে হাল ফিরেছে পর্যটন শিল্পের
    এই সময় | ১৬ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, দিঘা: ছুটির দিনে কিংবা উইকএন্ডে বেড়াতে যাওয়ার কথা মাথায় এলেই প্রথমেই দিঘার কথা উঠে আসে। দিঘায় বেড়াতে যাওয়া বাঙালির অভ্যাস বলা যায়। বড়দিন, বর্ষবরণে প্রত্যেকবার দিঘায় উপচে পড়ত ভিড়। সেই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হতো প্রশাসনকে। কিন্তু এ বার বর্ষবরণ, বড়দিনে কোনও ভিড় দেখা যায়নি দিঘাতে। তাই হোটেল থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীদের মন খারাপ ছিল। কিন্তু হোলিতে দিঘার সেই চেনা দৃশ্য ফিরে এল। উপচে পড়ল ভিড়। শুধু দিঘা নয়, ভিড় হয়েছিল তাজপুর, মন্দারমণিতেও। শুধু বেড়ানো নয় সঙ্গে চলেছে রং খেলাও। নানা রঙের আবিরে সৈকত হয়ে উঠেছিল রঙিন। মুখে হাসি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের।

    দমদম থেকে পরিবার নিয়ে দিঘা বেড়াতে আসা মৌমিতা সরকার বলেন, ‘অনেক বার দিঘা এসেছি। তবে কোনও বার এত আনন্দ হয়নি। এ বার দোলে দিঘায় এসে বেশ ভালো লাগল। প্রশাসন খুব কড়া ছিল।’ দুর্গাপুর থেকে একটি ছোট বাস ভাড়া করে এসেছিল ১২ জনের একটি দল। তাঁদের মধ্যে কৌশিক সিং বলেন, ‘ভাবিনি দোলে এমন আনন্দ হবে। দিঘার পরিবেশ একদম বদলে গিয়েছে।’ শুক্রবার সন্ধ্যায় জগন্নাথ ধামের সামনে পর্যটকদের দু’টি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন ৬ পর্যটক। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দু’টি গাড়ির সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

    শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া ছিল অনুকূল। সমুদ্র ছিল শান্ত। সকাল থেকেই সমুদ্রে স্নানে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পর্যটকদের গাড়ি ঢুকতে শুরু করে দিঘায়। দিঘা–শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আগে হোলিতে এমন ভিড় দেখা যেত। কয়েক বছর সেই ভিড় আর দেখা যায়নি। এ বার ফের সেই চেনা ভিড়ের দেখা মিলেছে। হোটেলের বুকিং ভালো হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার প্রায় সব হোটেলই ভর্তি ছিল। অনেকে শুক্রবার এসে সারাদিন দিঘাতে কাটিয়ে রাতে আবার বাড়িও ফিরে গিয়েছে।’

    এক দোকানির কথায়, ‘আমাদের ভালো ব্যবসা হয়েছে। শুধু তাই নয় সমুদ্রের ধারে যাঁরা ঘুরে ঘুরে ব্যবসা করেন, তাঁদেরও কেনাবেচা ভালো হয়েছে। আমাদের আশা এপ্রিলে মন্দির উদ্বোধনে আরও ভিড় হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)