• শিবগঞ্জ-নৈনান লঞ্চ পরিষেবা চালুর সবুজ সঙ্কেত, জুড়বে হাওড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা
    এই সময় | ১৬ মার্চ ২০২৫
  • মহম্মদ মহসিন, শ্যামপুর

    হাওড়ার শিবগঞ্জ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনানে নদীপথে যাতায়াতকারী মানুষদের জন্য খুব শীঘ্রই লঞ্চ পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। হাওড়া জেলা পরিষদ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। শিবগঞ্জ একদিকে যেমন হাওড়া জেলার শেষ প্রান্ত, অন্য দিকে, হাওড়া আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সীমানা। দু’টি জেলাকে ভাগ করেছে হুগলি নদী।

    তবে দু’টি জেলার যোগাযোগের জন্য এই নদীপথে বর্তমানে ভুটভুটি চলাচল করে, যা চলাচল নিষিদ্ধ এই নদীপথে। তা সত্ত্বেও মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই ভুটভুটির মাধ্যমেই যাতায়াত করেন। জলপথের এই রুটে লঞ্চ পরিষেবা চালু করার জন্য স্থানীয় মানুষ, জনপ্রতিনিধিরা দাবি করেছিলেন। শিবগঞ্জ থেকে নৈনানের মধ্যে ফেরি সার্ভিসটি হাওড়া জেলা পরিষদের পরিচালনাধীন।

    হাওড়া জেলা পরিষদ নদীপথে শিবগঞ্জ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনানের মধ্যে লঞ্চ সার্ভিস চালানোয় উদ্যোগী হয়। হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ তাপস মাইতি বলেন, ‘ওই নদীপথে লঞ্চ চালানোর জন্য আমরা যথেষ্ট আগ্রহী। যেহেতু হাওড়া জেলা পরিষদের অধীনে এই ঘাট, তাই পরিবহণ দপ্তরের সহযোগিতায় ইতিমধ্যেই শিবগঞ্জের দিকে জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। অপর প্রান্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈনানের দিকে জেটি নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। আইনগত সমস্যা মিটলে, পাকাপাকি ভাবে জেটি করা হবে।’

    তবে সাধারণ মানুষের স্বার্থে যতদিন না পাকাপাকি ভাবে জেটি করা হচ্ছে, ততো দিন বিকল্প ব্যবস্থা করে অতি দ্রুত লঞ্চ চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শিবগঞ্জ–সহ হাওড়া জেলা পরিষদের পরিচালনাধীন ঘাটগুলির সংস্কার ও নির্মাণের জন্য চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, হুগলি নদীর দুই পারের দু’টি জেলার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে চাকুরীজীবী, নিত্য প্রয়োজনে মানুষকে নদীপথ পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়া শিবগঞ্জ এখন একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং হুগলি নদীর পাশেই ভাগীরথী কো–অপারেটিভের বিরাট জায়গা জুড়ে লেক–সহ আকর্ষণীয় এক বিরাট ফার্ম, এর পাশেই কৃত্রিম ভাবে গড়ে ওঠা থুনবার্গ ফরেস্ট। রয়েছে একটি মাজার। এই সব কিছুকে কেন্দ্র করে দু’টি জেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এই নদী পেরিয়ে।

    শ্যামপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু পুরকাইত বলেন, ‘ওই জলপথে যোগাযোগের জন্য ভুটভুটি ব্যবহার করে থাকেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরাও। দৈনিক গড়ে হাজার দুয়েক যাত্রীর যাতায়াত। তাঁদের পক্ষ থেকে এই রুটে লঞ্চ চলাচলের জন্য একাধিক বার দাবি জানানো হয়েছে।’

    নদীপথে লঞ্চ চলাচল শুরুর সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যাওয়ার খবরে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ডিঙ্গাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তিরঞ্জন মাইতি, শিবগঞ্জের ভাগীরথী কো–অপারেটিভ জয়েন্ট ফার্মিং সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ সামন্তের বক্তব্য, নদীতে লঞ্চ চলাচল শুরু হলে পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ, সবাই উপকৃত হবেন।

  • Link to this news (এই সময়)