গ্রীষ্মের শুরুতেই রক্তের হাহাকার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে। এ পজেটিভ , এবি পজেটিভ-সহ বেশ কিছু গ্রুপের রক্ত প্রায় অমিল। মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রে ডোনার বা প্রত্যক্ষ রক্তদাতাই সম্বল। রক্তদানে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার সকাল পর্যন্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে বিভিন্ন গ্ৰুপের রক্তের অভাব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দু’দিন আগেই (বৃহস্পতিবার) মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাবালিকা পম্পা হেমব্রমের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য এ পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। এগিয়ে এসেছিলেন সেখ হানিমুদ্দিন আহমেদ নামে মেদিনীপুর শহরেরই এক যুবক। রোজা ভেঙে রক্ত দিয়েছিলেন তিনি।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অরুণ নন্দী নামে এক ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের জন্য রোজা ভেঙে রক্ত দিলেন সেখ মনিরুল ইসলাম। মেদিনীপুর শহরের রক্তদান আন্দোলনের দুই কর্মী মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত এবং নীলোৎপল চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে তাঁরা রক্ত দান করেন। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী মমতাজ মণ্ডলকে রক্ত দিলেন পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ যুবক হরেকৃষ্ণ রানা। হরেকৃষ্ণ সবংয়ের বাসিন্দা হলেও মেদিনীপুর শহরেই থাকেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘এটা ঠিক যে এই সময়ে রক্তের একটু সঙ্কট দেখা দেয় ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে। আমরা বেশি করে রক্তদান শিবিরে উৎসাহিত করছি। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির শহর মেদিনীপুরে এই ধরনের মানবিকতাই তো কাম্য!’