হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি (প্রোফাইল পিকচার)-এ রয়েছে নামী কোম্পানির মালিকের ছবি। নামও দেওয়া হয়েছে সেই কোম্পানির মালিকের। আপনাকে কোনও বার্তা পাঠানো হলে মনে হতেই পারে শিল্পপতি স্বয়ং হোয়াটসঅ্যাপ করছেন আপনাকে। সেখানেই লুকিয়ে প্রতারণার ফাঁদ। নয়া কায়দায় জালিয়াতির ঘটনা শহরে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নামী প্লাইবোর্ড কোম্পানির মালিকের নাম ভাঙিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছিল এক ব্যক্তির কাছে। কোটিপতি শিল্পপতির কাছে এই পরিমাণ টাকা আর এমন কী! হোয়াটসঅ্যাপে হয়ে যায় ‘ডিল’। আরকে আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলা হয়। টাকা জোগাড়ের জন্য পার্কস্ট্রিট থানা এলাকার বাসিন্দা বিজয় কুমার ভাঁটিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন আরকে আগরওয়াল। টাকা জোগাড়ও করা হয়।
৫০ লক্ষ টাকা নগদের গন্ধ পেয়েই চলে আসেন ‘ভুয়ো’ প্লাইবোর্ড কোম্পানির মালিকের প্রতিনিধিরা। সেই টাকা সংগ্রহ করেই গা ঢাকা দিয়ে দেন অভিযুক্তেরা। কিছুদিনের মধ্যেই প্রতারিতদের বুঝতে নিতে অসুবিধা তাঁদের টাকা জলে গিয়েছে। ৪ মার্চ এই জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করা হয় পার্কস্ট্রিট থানায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম ওয়াকাব মহম্মদ জাভেদ চান্দিওয়ালা, রিজা রাজি সায়েদ, শচীন মনোহর প্রসাদ, পবন শাহ, মহেন্দ্র পাল সিং, চেতন সিং। এদের মধ্যে ওয়াকাব, রিজা, শচীন মনোহর মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। পবন, মহেন্দ্র ও চেতন কলকাতার বাসিন্দা। মহারাষ্ট্রের নাল্লাসোপাড়া পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু সিম কার্ড, মোবাইল, ব্যাঙ্কের চেক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।