মাঠের ধারে, রাস্তার উপর, ড্রেনের পাশে পড়ে রয়েছে অসুস্থ কুকুর। এ দিকে আবার পাড়া থেকে উধাও গোরু। রানাঘাট থানা এলাকার তারাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কাশীনাথপুরের এই ঘটনায় দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন এলাকার লোকজন। অভিযোগ, সারমেয়দের বিষ খাইয়ে গোরু চুরি করে পালিয়েছে চোরের দল। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও এই এলাকায় বেশ কয়েকটি গোরু চুরি হয়। তবে এ বার যা ঘটেছে, তা অমানবিক। এলাকায় অচেনা লোক দেখলেই কুকুর চিৎকার করবে, এটাই স্বাভাবিক। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, চোরেদের যাতে কোনও রকম বাধার মুখে না পড়তে হয়, তাই কুকুরদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে পাড়ার কুকুরগুলি ধুঁকছে। পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে। একটি বাছুরকেও বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বাসনা বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধা জানান, রাত তখন প্রায় ২টো। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও তিনি বাইরে বেরিয়ে দেখেন, গোরুগুলি ঠিক আছে কি না। বাসনা জানান, তখনও গোয়ালঘরে গোরু ছিল। এর পর ভোর ৪টে নাগাদ দেখেন গোয়ালঘর ফাঁকা।
চম্পা বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক মহিলা অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পর ভোর ৪টের সময় বার বার তাঁরা থানায় ফোন করেন। কেউ ফোন ধরেননি। তাঁর দাবি, পুলিশ তৎপর হলে গোরু চোরদের ধরা যেত। এর আগেও এ ভাবেই গ্রামে গোরু চুরি হয়েছে। তিনি জানান, সে সময় পুলিশ সামান্য কিছু ক্ষতিপূরণ ধরিয়েছিল হাতে। চম্পা জানান, গোরুর দাম ৭০-৮০ হাজার টাকা। অথচ কিছু টাকা দিয়েই প্রশাসন দায় সারার চেষ্টা করে। এ বার তেমনটা হবে না বলেও আগেভাগে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন গ্রামের লোকেরা।