এই সময়, ঝাড়গ্রাম: সন্ধ্যায় হস্টেল থেকে চা খেতে বেরিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রী। সে সময়ে রাস্তায় ওই মেডিক্যাল কলেজের নির্মীয়মাণ ভবনের এক শ্রমিক তাঁর হাত ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রামে।
এরপরেই ওই ছাত্রী পুলিশে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। মার্শাল মুর্মু ওরফে লক্ষ্মীরামকে ওই রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ৮ অগস্ট রাতে কর্তব্যরত এক তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় সারা রাজ্য তোলপাড় হয়েছিল। ওই ছাত্রীকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পরেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয় শহরের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর উপর জোর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা ওই ছাত্রী ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি হস্টেল থেকে এক সহপাঠীর সঙ্গে চা খেতে বেরোন। সে সময়ে তাঁদের পিছু নেয় ধৃত। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁরা বুঝতে পারেন যে মার্শাল ছাত্রীদের পিছু নিয়েছে। মার্শাল ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। পথেই ছাত্রীরা তাঁকে সরে যেতে বলেন।
কিন্তু ওই যুবক কোনও কথা শোনেনি। ভয়ে রাস্তায় এক টোটোকে দাঁড় করান ছাত্রীরা। অভিযোগ, টোটোতে উঠতে গেলে মার্শাল এসে বাধা দেয়। তখনই ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে সে। ছাত্রী বলেন, ‘আমি বার বার বারণ করার পরেও ওই যুবক আমাদের কথা শোনেনি। সে আমাদের মেডিক্যাল কলেজের নির্মীয়মাণ ভবনে কাজ করে। অনেক দিন ধরেই আমায় ফলো করে। ওই দিন আমি টোটোয় উঠতে গেলে সে আমার হাত ধরে টেনে ধরে রাখে। কোনও রকমে হাত ছাড়িয়ে আমি টোটোতে উঠি।’
ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামিম বিশ্বাস বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই নির্মীয়মাণ ভবনের শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।’ এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফোন করা হলেও অধ্যক্ষ ফোন তোলেননি। এসএমএসেরও কোনও উত্তর দেননি।