ফুরফুরা শরিফে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নওশাদ নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। সোমবার বিকেলে ইফতারে যোগ দিতে ফুরফুরা শরিফে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নওশাদকে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে নবান্নে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি। এর পরই শাসকশিবিরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
যদিও সেই সাক্ষাৎ নিয়ে নওশাদ জানিয়েছিলেন, তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকা তিনি খরচ করতে পারছেন না। নবান্নে সে কথাই জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু সোমবার ফুরফুরায় মুখ্যমন্ত্রীর ইফতারে আইএসএফ বিধায়কের ডাক পাওয়া নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
নওশাদ অবশ্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে যান। ফুরফুরা শরিফ ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান। এখানে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আসেন, এমন নয়। এখানে মুখ্যমন্ত্রী আগেও এসেছেন, ১৭ তারিখ আবার আসছেন। আমাকে জেলাশাসকের দপ্তর থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
আইএসএফ বিধায়ক জানান, শুধু তাঁকেই নয়, গোটা পরিবার আমন্ত্রিত। পীরজাদা, পীরসাহেবদের সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তা হলে কি নবান্নের পর আবারও ফুরফুরায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন নওশাদ? তিনি জানান, এ নিয়ে পরিবার ও দলের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেবেন। শনিবার রাতে ফুরফুরার পীরসাহেব ও পীরজাদাদের বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক, জাঙ্গিপাড়ার বিডিও।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১২ ও ২০১৬ সালে ফুরফুরায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে তৃতীয় বার ফুরফুরা শরিফে যাচ্ছেন তিনি। সূত্রের খবর, সেখানে ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।