প্রসেনজিত্ সরদার: আদর করে মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরবনের ঝড়খালিতে দুটি বাঘের নাম দিয়েছিলেন 'সোহান ' আর 'সোহানি"। আগেই প্রাণ হারিয়েছে 'সোহানি। অবশেষে প্রাণ হারাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের 'সোহান'। বনদপ্তরের তরফ থেকে 'সোহান' মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে নিয়মমাফিক তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
২০০৯ সালে বারবার সাতজেলিয়ার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছিল এই সোহান। বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা হয় তাকে। তারপর নিয়ে রাখা হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানাতে। পরবর্তীতে তাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয় ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে। পর্যটকদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল সোহান ও সোহানি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাতেন এই সোহান ও সোহানিকে দেখতে। সোহানি মারা যাওয়ার পর নতুন একটি বাঘকে এনে রাখা হয় ঝড়খালিতে। কিন্তু তাতে মন ভরেনি সোহানের। সোহানের জন্য প্রতিনিয়ত ছিল চিকিৎসার ব্যবস্থা। পশু চিকিৎসক নিয়ম করে তার চিকিৎসা করতো। শুধু তাই নয় নির্দিষ্ট খাবারও দেওয়া হতো যথেষ্ট হিসাব করেই।
সোহান মারা যাওয়ায় একদিকে যেমন মন খারাপ ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মীদের, তেমনি পর্যটকদেরও। আপাতত ঝড়খালি পুনর্বাসনকেন্দ্রে একটি বাঘ এখন থাকলো। এ বিষয়ে রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক বলেন, বিষয়টি দুঃখের। তবে যথেষ্ট বয়স হয়েছিল এই বাঘটির। প্রায় ২২ বছর বয়স হয় তার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছুদিন যাবত বাম চোখে ছানি পড়ার কারণে দেখতেও পাচ্ছিল না সে। অন্ধত্ব অবস্থায় দিন কাটছিল । সব মিলিয়ে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা গেছে বাঘটি।