হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি হিসেবে সংস্থার লোগো! অভিনব কায়দায় ৫০ লক্ষ হাতিয়ে পুলিশের জালে ৫
প্রতিদিন | ১৬ মার্চ ২০২৫
অর্ণব আইচ: কলকাতা শহরে অভিনব প্রতারণা! প্রথমে নামী প্লাইউড সংস্থার মালিকের নাম করে ৫০ লক্ষ টাকা সাহায্য চাওয়া। পরে সেই সংস্থার লোগোর ছবি হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি হিসেবে ব্যবহার করে সেই টাকা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছিল প্রতারকরা। পার্ক স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অবশেষে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪ মার্চ পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অঙ্কিত ভাটিয়া। পুলিশকে তিনি জানান, নামী এক প্লাইউড সংস্থার মালিক সেজে কলকাতার বাসিন্দা ড. আর কে আগরওয়ালকে ফোন করে এক প্রতারক। ফোনে ৫০ লক্ষ টাকার জোগার করতে অনুরোধ করেন। ড. আর কে আগরওয়াল আবার অভিযোগকারীর বাবা বিজয় কুমার ভাটিয়াকে ফোন করে নগদের বন্দোবস্ত করতে বলেন। তিনি টাকা জোগার করে প্লাইউড সংস্থার মালিকের প্রতিনিধি সেজে আসা দুই প্রতারকের হাতে সেই টাকাও তুলে দেন। প্রতারকরা হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি হিসেবে সংস্থার লোগোর ছবি ব্যবহার করছিল ওই দুই প্রতারক। ওই ডিপি-কে পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করেছিল তারা। বিষয়টি জানাজানি হতেই পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
তদন্তে নেমে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে হানা দেয় পুলিশ। ১৩ তারিখ মহারাষ্ট্র থেকে ওয়াকব মহম্মদ জাভেদ চান্ডিওয়ালা এবং রিয়াজ রাজি সঈদকে গ্রেপ্তার হয়। যোগীরাজ্য থেকে সমীরা হারদো পাত্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। যাতে ৫০ লক্ষ টাকা আনা হয়েছিল। একটি ব্যাগপ্য়াক, প্রতারণার সময় ওয়াকব এবং রিয়াজের পোশাক, তিনটি মোবাইল, পাঁচটি প্রি অ্যাকটিভ সিমকার্ড উদ্ধার হয়। ১৪ তারিখ ফুলবাগানের পবন সাউকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত হয়। পরে হেয়ার স্ট্রিট থানা চত্বর থেকে গতকাল মহেন্দ্র পাল সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে নগদ ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৪০ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি আধার কার্ড, দুটি চেকবুক এবং একটি টাকা গোনার মেশির উদ্ধার হয়। চক্রের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।