সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় কি অসুস্থ? কুণালের দাবি ওড়ালেন নয়না, 'ওর স্ত্রীর কাছে…'
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ মার্চ ২০২৫
তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় কি অসুস্থ? এই প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করছে বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। এবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অসুস্থতা নিয়েও শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের অন্দরে তরজা। সাংসদ তথা উত্তর কলকাতার তৃণমূলের সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অসুস্থতা নিয়ে পোস্ট করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় অসুস্থ। তবে কুণালের দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন সুদীপ জায়া নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সমাজমাধ্যমে পরপর দুটি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। প্রথম পোস্টে তিনি লিখেছেন, সাংসদ, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা, উত্তর কলকাতার সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত ও সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করি। পুরো সুস্থ হয়ে যান সুদীপদা। তাঁর অসুস্থতার সময় পাশে আছি আমরা সবাই।
এরপর দ্বিতীয় একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমি সকালে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা কামনা করে লিখেছিলাম ওঁর পাশে আছি। পুরো সুস্থ হয়ে উঠুন। তারপর দুচারটে ছাগল বলতে ব্যস্ত উনি সুস্থ, বাড়িতে, খোশমেজাজে। আরে, অসুস্থ হলে কি হাসপাতালেই থাকতে হবে? বা বাড়িতে চোখ উল্টে শুয়ে থাকতে হয়??? আজব তো। সুদীপদা অসুস্থ। চিকিৎসা চলছে। যথেষ্ট চাপের। বিস্তারিত লেখাবেন না। উনি সুস্থ থাকুন। সসম্মানে স্বপদে পার্টির কাজ করুন। এর জন্য জোর করে সুস্থ সাজিয়ে রাস্তায় ঘুরিয়ে ছাগলগুলো যেন ওঁর 'উপকার' না করে। এইসব কিছু গরু, ছাগল, কুকুর, বেড়ালের জন্যই যে কোনও সংগঠনে সমস্যা হয়। এরা ফেস বুকে বিপ্লবী। আর নিজস্বার্থে তেল বাজিতে। কোন্ ওয়ার্ডে থাকে, জেলার কর্মীরাও জানেন না, কারণ ওয়ার্ড, এলাকায় সম্পর্ক নেই। এদের মধ্যে দুএকটা নেড়িকে আদর করে দেখুন। এরা ভালোবাসা বোঝে না। অন্য কোথাও বিস্কুট পাওয়ার ধান্দায় আপনাকেই কামড়াতে আসবে।
তবে কুণালের এই বক্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন নয়না। তিনি এবিপি আনন্দে জানিয়েছেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একটা মিটিং করেছিলেন। আমরা সকাল থেকে সেসব নিয়ে পড়ে আছি। কাজ করছি। কুণালদার কাছে হয়তো কোনও মিস ইনফরমেশন ছিল। তাই লিখে ফেলেছেন। একবার একটা ফোন করে জিজ্ঞাসা করলে আরও ক্লিয়ার হয়ে যেত। পার্টির কালকের মিটিংয়ের পরে ও তো কাজ করছে। তিনি চিকিৎসাধীন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে নয়না বলেন, ও নো নো।
কুণাল বলেন, তথ্যটা আমার কাছে সঠিক আছে, ওর স্ত্রীর কাছে সঠিক নেই।