• এবার মেলার আয়োজন করছে কলকাতা পুরসভা, সুস্বাস্থ্যের বার্তা দিতেই অভিনব উদ্যোগ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ মার্চ ২০২৫
  • স্বাস্থ্যই সম্পদ। কিন্তু এই স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যে মেলার আয়োজন করা যায় সেটা এবার অভিনব। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কদিন আগেই পথে বিক্রি হওয়া খাবার পরীক্ষা করা হয়। সেগুলি কতটা স্বাস্থ্য সম্মত সেটাও খতিয়ে দেখা হয়। এমনকী রাজ্যজুড়ে খাদ্য পরীক্ষাগার খোলার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এই আবহে এবার ‘‌মিলেট মেলার’‌ আয়োজন করছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় ফুড সেফটি শাখা এই মেলার আয়োজন করছে। এই মেলার একটা বিশেষত্ব আছে। সেটি হল নাগরিকদের শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা। যা একটা অভিনব উদ্যোগ।

    এদিকে এই মেলা হবে আগামী ১৯ মার্চ। স্থান ঠিক করা হয়েছে সার্দান অ্যাভিনিউর বিবেকানন্দ পার্ক। এখানের কমিউনিটি হলে এই ‘‌মিলেট মেলার’‌ আয়োজন করা হচ্ছে বলে খবর। এই ‘‌মিলেট মেলা’‌ সম্পর্কে স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, এই মিলেট ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আর মিলেট জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী। তাই কলকাতা শহরের মানুষজনের মধ্যে মিলেট জাতীয় খাবার সম্পর্কে প্রচার করতে এই মেলার আয়োজন করছে কলকাতা পুরসভা। মিলেট জাতীয় খাদ্য যেগুলি রয়েছে তা হল— জোয়ার, বাজরা, রাগি থেকে যে নানা ধরনের খাবার তৈরি হয়। এবার সেসব এই মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।


    অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই মিলেট জাতীয় খাবার খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাছাড়া এই মিলেটের মাধ্যমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অর্থাৎ যা রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়ায় সেটা অনেক কম থাকে। আর এই মিলেট জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই মিলেট জাতীয় খাবার খাওয়ার উপর প্রচার করেছেন। এবার তা বঙ্গে মেলা হিসাবে উঠে আসছে। এমন মেলা আগে সেভাবে হয়নি। এই বিষয়ে এক পুরকর্তা বলেন, ‘‌সমীক্ষায় মিলেছে ভাত, আটা, ময়দার রুটি শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। বাংলা এই খাবারের চল কম। তবে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসলে মানুষের উপকারও হবে এবং স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।’‌

    অন্য অনেক রাজ্য আছে যেখানে মিলেট জাতীয় খাবারের চল বেশি। এই মিলেট জাতীয় খাবার আজকের নয়। এটা মোঘল আমল থেকে চলে আসছে। প্রাচীন মানুষজন এই মিলেট জাতীয় খাবারের উপর জোর দিতেন। রাজস্থানে মিলেট জাতীয় খাবার যথেষ্ট ব্যবহার হয়। ওখানের পাশাপাশি হরিয়ানা, চণ্ডীগড় রাজ্যেও এই খাবারের প্রচলন আছে। তাই এইসব রাজ্যে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা অনেক কম। মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব রাজ্যে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই এই ধরনের খাবারের গুণ সম্পর্কে মানুষকে জানাতেই এমন মিলেট মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যাতে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)