এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন ষাটোর্ধ্ব প্রবীণের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, লাগাতার ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে বছর ১৫-র ওই নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জে। ইতিমধ্যেই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ৩ প্রবীণকে।
সূত্রের খবর, ওই নাবালিকার বাবা-মা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক প্রবীণের বাড়িতে কাজ করতেন তাঁরা। ফলে মাঝেমধ্যেই তাঁর বাড়িতে মেয়েকে রেখে যেতেন। সেই সুযোগে তিন বৃদ্ধ নাবালিকাকে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের দু'জনের বয়স ৬০, অন্য জনের বয়স ৬২।
সম্প্রতি ওই নাবালিকার শারীরিক গঠনে বিস্তর পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এর পর প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। নাবালিকার বাবা-মা তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ৩ প্রবীণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে নাবালিকা। তার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশে যাতে কোনও অভিযোগ না করা হয় সে জন্য তাঁদের হুমকি দেন ওই ৩ বৃদ্ধ। যদিও নাবালিকার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মণিভূষণ সরকার জানান, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ৩ জন প্রবীণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ০৬ পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার অভিযুক্তদের মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
নাবালিকার বাবা-মা জানান, তাঁদের মেয়ে ওই প্রবীণদের দাদু বলে ডাকত। এ ঘটনা ঘটতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তাঁরা। সোমবার নাবালিকাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবে পরিবার। চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই তার গর্ভে থাকা শিশুটিকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, শনিবার ধূপগুড়িতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ যুবক। ধৃতের নাম বুদ্ধমোহন বর্মন (২৭)। অভিযোগ ধূপগুড়ি মহাকুমার অন্তর্গত এলাকায় এক নাবালিকা আত্মীয়ের বাড়িতে তেজপাতা আনতে গিয়েছিল। সেই সময় প্রতিবেশী বুদ্ধমোহন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরিবারকে এই ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই বুদ্ধমোহন বর্মনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধূপগুড়ির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেইলসন লেপচা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়।’