‘পুলিশ এখানে গাড়ি ধরে, টাকা নেয়’, দুর্গাপুরে নির্দিষ্ট একটি ঠিকানা গুগল ম্যাপে টাইপ করলেই ভেসে উঠছে এই লেখা। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে আম আদমির। তাঁদের সোজাসাপটা প্রশ্ন, ‘হচ্ছেটা কী?’ নড়েচড়ে বসেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
গুগল ম্যাপে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের আই সেক্টর বাস স্টপ টাইপ করলেই লেখা ভেসে উঠছে ‘পুলিশ এখানে গাড়ি ধরে, টাকা নেয়’। আর তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিল্পাঞ্চলজুড়ে। ঘটনায় সাইবার বিভাগের সহায়তায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত দু’দিন ধরে রঙের উৎসবে মাতোয়ারা বঙ্গ তথা দেশ। বাদ পড়েনি শিল্পাঞ্চলও। কিন্তু উৎসবের সময়ে যাতে ‘মদ্যপ’ বাইকবাহিনীর দৌরাত্ম না বাড়ে সেজন্য তৎপর হয়েছিল আসানসোল- দুর্গাপুর কমিশনারেট ট্রাফিক বিভাগ। জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছিল নাকা চেকিং। পাশাপাশি কেউ মদ্যপ অবস্থায় যাতে গাড়ি না চালান সেই দিকে দেওয়া হয়েছিল বাড়তি নজর।
দুর্গাপুর ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলের দিনে অণ্ডাল থেকে বুদবুদ, কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। শিল্পাঞ্চলের পুলিশ কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ, ট্রাফিক বিভাগ কড়া হতেই গুগল ম্যাপে পুলিশের নাকা চেকিং নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। এই খবর চাউর হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কমিশনারেট পুলিশের ট্রাফিক এবং সাইবার বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে এসিপি ট্রাফিক (থ্রি) রাজকুমার মালাকার বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঠেকাতে গোটা দুর্গাপুরজুড়েই ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। মানুষকেও সচেতন করা হচ্ছে। বিশেষ করে মদ্যপ অবস্থায়, হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালালেই আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে নিয়মিত অভিযান চলছে। ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় দোল এবং তার পরের দিনে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গুগল ম্যাপের লোকেশনে এই সমস্ত কে বা কারা লিখছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সাইবার বিভাগ গোটা ঘটনাটির তদন্ত করে দেখছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষীদের বিরুদ্ধে।’