বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সংশোধনগারে উদ্ধার এক বন্দির ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সাঁতরা ওরফে বুবাই (৩৩) এবং তিনি হুগলি জেলার ধনেখালির বাসিন্দা। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দেহটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর নাগাদ সংশোধনগারে শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সাজা প্রাপ্ত ওই বন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে সঠিক তদন্তের দাবি করা হয়েছে মৃতের পরিবারের তরফে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে গোপীনাথপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরা খুন হন। উপপ্রধানের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে বিশ্বজিৎ-সহ বেশ কয়েকজনকে সাজার নির্দেশ দেয় আদালত। তার পর থেকেই মৃত বন্দি বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল।
মৃত বিশ্বজিৎ-র পিসি চায়না বাগ বলেন, ‘আমার ভাইপোকে জেলে মারধর করা হতো। ওকে একসঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।’
বিশ্বজিৎ-র এক বন্ধু তাপস পোড়েল বলেন, ‘আমাদের মাঝরাতে ফোন করে বিশ্বজিৎ-র মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর দেহ আমরা দেখতে পাইনি।’