চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ, ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ মার্চ ২০২৫
চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ লক্ষ্মণ ঘোষ। ধৃত লক্ষ্মণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল লক্ষ্মণ ঘোষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মণ ঘোষের। তাঁদের দু’জনের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের সঙ্গেও যথেষ্ট সখ্যতা রয়েছে লক্ষ্মণ ঘোষের। রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলেন লক্ষ্মণ ঘোষ।
গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপিকে একহাত নিয়েছে জোড়াফুল শিবির। বনগাঁ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, করোনার আগে থেকেই এই ধরনের ছোট-বড় বিজেপি নেতা বাজার থেকে টাকা তুলেছে। লক্ষ্মণ ঘোষ চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দলটা পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত, এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিকে দূর করে দেবে।
বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, বিজেপিতে ঘনিষ্ঠ বলে কিছু হয় না। কে কার সঙ্গে ছবি তুলল এবং কোথায় পোস্ট করল, সেটা দেখার দায়িত্ব দলের নয়। এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। ২০১৮ সাল থেকে লক্ষণ ঘোষ জামিনে মুক্ত আছেন। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই কেসের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। আইন আইনের পথে চলবে। তৃণমূলের যে নেতারা এসব সোশাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন, তাঁরা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত।