• অসুস্থতা কাটিয়ে সোমবারই কাজে যোগ যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যর, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন?
    প্রতিদিন | ১৭ মার্চ ২০২৫
  • রমেন দাস: আগামিকাল সোমবার থেকে কাজে যোগ দিচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। নির্দিষ্ট সময়েই তিনি কাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। সেই কথা জানা গিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সভা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিগ্রহের শিকার হন। এদিকে দুই ছাত্রও জখম হন।  জখম ছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। সেখানে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়। তারপর দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন।

    গত সপ্তাহে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ি থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কাজ করছিলেন। এবার তিনি সশরীরে ক্যাম্পাসে গিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন। সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন। ভাস্করবাবু জানিয়েছেন, ডাক্তারের অনুমতি পাওয়ার পরি তিনি ক্যাম্পাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাড়িতে বসে সব কাজ হয় না।

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা এখনও সম্পূর্ণ কাটেনি। এসএফআই ও অতি বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের একটা অংশ এখনও ক্যাম্পাসে আন্দোলন জারি রেখেছে। সেই অবস্থায় ক্যাম্পাসে পা রাখছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা তাঁর কাছে কী দাবি রাখবেন? সেই প্রশ্নও থাকছে। অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে নতুন করে শোরগোল ছড়িয়েছে।

    রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলার অভিযোগে উত্তাল হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে মধ্যেই ছড়ায় অশান্তির আগুন। শিক্ষা বন্ধুর অফিসে আগুন, একের পর এক ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর। এবার সেই ঘটনার দিনের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু বিতর্ক! যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রাজর্ষি চক্রবর্তী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে ওই ভিডিও পোস্ট করেছেন। তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের দাবি, শিক্ষা বন্ধুর অফিসে আগুন, ভাঙচুরের ঘটনার সময়ের ও ভিডিওয় যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে দুজন ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মুক্তির দাবিতেও সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতাদের একটা বড় অংশ।

    ওই ভিডিও প্রসঙ্গে গবেষক রাজর্ষি চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘আমি ওই ভিডিওটি বিশ্বস্ত সূত্রে পেয়েছি। ওটা একদম সত্যি। ওখানে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পুলিশের তদন্ত করা উচিত, এই কাজে যাঁরা জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমিও তদন্তে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।’’ প্রায় একই সুরে ফের সরব বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। কিশলয় রায়ের দাবি, ‘‘ওই ভিডিও আমিও পোস্ট করেছি। যাঁদের দেখা যাচ্ছে, ওঁরা শিক্ষামন্ত্রীকে মারতে চেয়েছিলেন। তারপর এসব ঘটায়। এঁরা ইচ্ছাকৃত অশান্তি করেছে।’’
  • Link to this news (প্রতিদিন)