এই সময়, শিলিগুড়ি: পর্যটন ব্যবসায়ীদের মরা গাঙে বান ডাকল দোল উৎসব। রবিবার রেকর্ড ভিড় হলো ছাঙ্গু ও নাথুলায়। প্রায় কয়েক হাজার পর্যটক এ দিন গাড়ি নিয়ে ছাঙ্গু ও নাথুলায় বেড়াতে যান। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে লাগাতার স্নো–ফল চলছে উত্তর ও পূর্ব সিকিমে। ফলে গ্যাংটক থেকে ছাঙ্গু যাওয়ার পথে পনেরো মাইল থেকেই এ বার রাস্তার দু’ধারে ঢাকা পড়েছে বরফে। রবিবারও হালকা স্নো–ফল হয় ছাঙ্গু-নাথুলা এবং উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেনে। ফলে খালি হাতে যেমন ফেরেননি পর্যটকেরা, তেমনই পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও মুখে হাসি।
সচরাচর, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সিকিমে পর্যটক কমতে থাকে। দোলের সময়ে দু’তিন দিন সামান্য ভিড় বাড়ে। তার পরে আবার এপ্রিল মাস থেকে সামার সিজ়ন শুরু হয়। এ বার একে তো দোলে পর পর তিন দিন ছুটি ছিল, তার সঙ্গে আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকায় বহু পর্যটক ভিড় করেন পাহাড়ে। গ্যাংটকের প্রায় সমস্ত হোটেল বুক হয়ে যায়। পর্যটন ব্যবসায়ী কল্পক দে বলেন, ‘গ্যাংটকে দোলের সময়ে এত ভিড় খুব একটা দেখা যায় না। এ বার স্নো–ফলের কারণেই সম্ভবত এত ভিড়।’
একই পরিস্থিতি দার্জিলিংয়ে। যদিও কারণ ভিন্ন। সিকিমে লোকে যেমন স্নো–ফল দেখতে যান, তেমনই দার্জিলিংয়ে পর্যটকেরা যান স্রেফ ম্যালে বসে ছুটি কাটানোর জন্য। সঙ্গে টয় ট্রেন এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা থাকে বাড়তি পাওনা। বেশির ভাগ হোম–স্টেতে জায়গা ছিল না।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘স্নো–ফল দেখতে যে সমস্ত পর্যটকেরা ভালোবাসেন তাঁরা এ বার চুটিয়ে সিকিমে দোল উৎসব উপভোগ করেছেন। দার্জিলিং, কালিম্পংয়েও বেশ ভিড় ছিল।’ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের গ্যাংটক শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘এ বার পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এই এলাকায় অত্যন্ত সক্রিয়। সোমবার পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই থাকবে।’