• টানাপোড়েন শেষ, বোর্ড মিটিংয়ে গৃহীত পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ইস্তফাপত্র
    প্রতিদিন | ১৭ মার্চ ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: ইস্তফাপত্রে ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ’ লিখে ‘খেলা হবে’ বলে পুরপ্রধানের পদ আঁকড়ে বসে থাকলেও বেশিক্ষণ তা স্থায়ী হল না। সোমবার পানিহাটি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে গৃহীত হল মলয় রায়ের পদত্যাগপত্র। কাউন্সিলররা সকলেই তাঁর ইস্তফার পক্ষে মত দেওয়ায় আস্থা ভোট হল না। নিয়মমাফিক চেয়ারম্যানের ইস্তফার পর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে বৈঠক ডাকতে হয়। আগামী ২১ মার্চ সেই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। ওইদিন নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হতে পারে। তবে সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে পুরপ্রশাসন এবং দলের কাজ সামলানো মলয় রায়কে অন্য কাজের ভার দেবে তৃণমূল।

    পানিহাটি পুরসভার সদ্যপ্রাক্তন চেয়ারম্যান মলয় রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর মদতে অমরাবতীর একটি বড় মাঠ বিক্রির চক্রান্ত হয়েছে। এই খবর জানাজানি হতে রাজ্য সরকার মাঠটি অধিগ্রহণ করবে বলে জানিয়ে শাস্তিস্বরূপ চেয়ারম্যানকে পদ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ফোনে মলয় রায়কে ইস্তফা দিতে বলেন। তারপরও অবশ্য নিজের পদ আঁকড়ে অনড় ছিলেন মলয়বাবু। কিন্তু পরে চাপে পড়ে ইস্তফাপত্র লিখলেও তাতে স্পষ্ট করে ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ’ কথাটি উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান। ইস্তফা দেওয়ার পরে ‘খেলা অনেক বড়’ বলে জল্পনা উসকে ছিলেন মলয় রায়। কিন্তু বোর্ড মিটিংয়ের আগে দিনই ঠিক উলটো শুরু শোনা যায় তাঁর মুখে। মলয়বাবুর কথায়, “দল যাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবে, তাঁকে সমর্থন করব, সমস্ত রকম সহযোগিতা করব।”

    এরপর সোমবার নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিলররা বৈঠকে বসেন। সেখানে কেউ মলয় রায়ের ইস্তফার বিরোধিতা করেননি। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। তবে সূত্রের খবর, পুরপ্রধানের পদ থেকে সরতে হলেও মলয়বাবুর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার নিরিখে দলের তরফে তাঁকে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)