• বিজেপি সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চাপানউতোরের মাঝে দিল্লিতে শুভেন্দু
    প্রতিদিন | ১৭ মার্চ ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি কে, তা নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। রবিবার সল্টলেকের কার্যালয়ে বৈঠকেও বসেন রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্যরা। তার চব্বিশ ঘণ্টা পার হতে না হতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা শুভেন্দু অধিকারী। আচমকা কেন রাজধানীতে পাড়ি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর কাটাছেঁড়া।

    শুভেন্দু অবশ্য নিজেই দাবি করেন, সোমবার সন্ধ্যায় সুকান্তর দিল্লির বাড়িতে একটি বৈঠক রয়েছে। তাতে বিজেপি সাংসদরা থাকার কথা। ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু। তবে এবারের দিল্লি সফরে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে কিনা, সে বিষয়টি খোলসা করেননি শুভেন্দু। এদিকে, সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে একাধিক ইস্য়ুতে রাজ্য সরকারকে তোপও দাগেন তিনি।

    বলে রাখা ভালো, আগামী ২৯ মার্চ রাতে একদিনের সফরে কলকাতা আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরদিন একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক সেরে রাতে ফিরে যাবেন দিল্লি। রবিবার একথা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এই ঘোষণার পরই রাজ্য বিজেপির সভাপতি বদল নিয়ে নতুন করে চর্চা জোরালো হয়েছে। কারণ, আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই যে অমিত শাহর সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তা বুঝতে রাজনৈতিক পাণ্ডিত্য লাগে না। সাধারণ হিসাব বলে, যে রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে বিজেপি বিধানসভা ভোট লড়বে, তাঁকে পাশে বসিয়ে সাংগঠনিক বিষয়গুলি চূড়ান্ত করবেন শাহ। এ বিষয়ে সুকান্ত জানান, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে ২৫টি জেলার সভাপতি নির্বাচন করা হয়ে গিয়েছে। যার অর্থ এখন রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা আসেনি। নির্দেশ এলেই মনোনয়ন পর্ব শুরু হবে।”

    রাজ্য বিজেপি সভাপতির ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “রাজ্য সভাপতি নিয়োগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। এখনও কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি। উপর থেকে নির্দেশ এলে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন শুরু হবে।” সুকান্তর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই ঠিক করার কথা বলে সুকান্ত বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব চাইলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সরিয়ে বর্তমান কমিটিকে বহাল রাখতেই পারে। আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন থাকায় সভাপতি পদে বসানোর ঝুঁকি না নেওয়াও স্বাভাবিক। যদিও অন্য একটি সূত্রের মতে রাজ্য সভাপতি পদে একজন সাংসদ ও এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির নামও আলোচনায় রয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)