অধিকার মিছিলে নামছে এসএফআই, 'তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী সবাই আসবেন' অবাক আহ্বান
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মার্চ ২০২৫
বাম আমলে ক্যাম্পাস মানেই ছিল এসএফআই। সেই সময় এসএফআইয়ের চোখ রাঙানি দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন বিরোধীরা। আর এখন বাংলার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস মানেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাপট। তবে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির মতো কিছু শিক্ষাঙ্গন এখনও ব্যতিক্রমী।
এসএফআইয়ের রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছেন, স্লোগান রেখেছিলাম যে শিক্ষাকে পুনরুদ্ধার করো। ..ছাত্র সংসদ নির্বাচনের যে দাবি সেটা আমাদের সংযুক্ত রয়েছে। লেখাপড়ার অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার, মত প্রকাশের এই কথাগুলোকে বলার জন্য অধিকার মিছিল সেটা ২৫শে মার্চ মঙ্গলবার যাদবপুর ৮বি থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের রাজ্য কমিটি অধিকার মিছিলের ডাক দিচ্ছি। পিন পয়েন্ট স্লোগান, আমাদের ক্যাম্পাস আমাদের অধিকার। ছাত্ররা তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে পড়াশোনা করার, কম খরচে পড়াশোনা করার, স্টাইপেন্ড পাওয়ার অধিকার, ক্য়াম্পাসে মত প্রকাশের জন্য অধিকার মিছিল। এসএফআই রাজ্য কমিটির ডাকে বেলা ৩টের সময় এই মিছিল শুরু হবে। সমস্ত ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, অধ্য়াপক, অন্য়ান্য় ছাত্র সংগঠন, অধ্য়াপকদের সংগঠন, এরকম বহু মানুষ এখনও বাংলায় রয়েছে যাঁরা পড়াশোনার এই সিস্টেম নিয়ে বিচলিত তাঁদেরকেও আহ্বান জানিয়েছেন এসএফআই। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সমস্ত মানুষজন ঐক্য়বদ্ধ হয়ে লখিমপুরের ঘটনাকে সমর্থন করেন না, যারা যাদবপুরে ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে, ওমপ্রকাশ মিশ্রের নেতৃত্বে ছাত্রদের গাড়ি চাপা দেওয়াকে সমর্থন করেন না তারা সকলে আসুন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই মিছিলে একজোট হই।
এখানেই প্রশ্ন তবে কি অতি বাম যে সমস্ত সংগঠন উঠতে বসতে সিপিএমের সমালোচনা করে, এসএফআইয়ের সমালোচনা করে তাঁদেরকেও স্বাগত? তবে কি নিজেদের শক্তি তলানিতে এটা বুঝে গিয়েই এবার সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাগত জানাচ্ছে এসএফআই?
এসএফআই নেতৃত্বের দাবি, এসএফআই একবার শুধু বলেছে চালিয়ে খেলো তাতেই তৃণমূলের যা ঘামাচি বের হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, তৃণমূলের ছটফটানি শুরু হয়ে গিয়েছে, এরপর নির্বাচন ঘোষণা হলে যে ঝড়ের গতিতে খেলা হবে তাতে তৃণমূলকে বেশিরভাগ ক্যাম্পাসে খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। তিনি বলেন, যাদবপুরে যে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল তা বহু কিমি দূরে মেদিনীপুরে গিয়ে আছড়ে পড়েছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনটা ঘোষণা করার দম যদি দেখাতে পারে তবে ছাত্রছাত্রীরাই বুঝে নেবে।