গত শনিবার মেগা ভার্চুয়াল মিটিং করেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর সেই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। এমনকী তাঁর স্ত্রীও সেই মিটিংয়ে ছিলেন বলে খবর। গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শান্তনু সেনকে কার্যত আরজিকরের ঘটনায় দলকে অস্বস্তিতে ফেলে মন্তব্য করার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে দলের অন্দরে তিনি অভিষেকপন্থী বলেই পরিচিত। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অন্দরে অভিষেকের গুরুত্ব ফের বাড়ছে। আর তারপরই শান্তনু সেনের সাসপেনশন তোলার ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে খবর।
এদিকে অভিষেকের মিটিংয়ের সাসপেন্ডেড নেতা শান্তনু সেন উপস্থিত থাকার খবরকে ঘিরে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে শান্তনু সেনের দাবি, দল থেকেই তাঁকে লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল। তারপরই তিনি অভিষেকের মিটিংয়ে উপস্থত ছিলেন। এবার প্রশ্ন সাসপেন্ড হওয়া নেতাকে লিঙ্ক পাঠালেন কে? তবে যিনি মিটিং ডেকেছিলেন তাঁর নির্দেশেই কি শান্তনুর কাছে মিটিংয়ের লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল?
কিন্তু নানা মহলের প্রশ্ন শান্তনু সেনের সাসপেনশন তো এখনও ওঠেনি। সেক্ষেত্রে সাসপেন্ড থাকা অবস্থায় তিনি কীভাবে মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন? এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত শনিবার ভার্চুয়াল মিটিং করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সাসপেন্ড হওয়ার পরে একের পরে এক বোমা ফাটিয়েছিলেন শান্তনু সেন।
সেই সময় তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন,আমি তো বুঝতেই পারছি না দল বিরোধী কাজ কী করলাম। এটা বুঝিয়ে দিলে ভালো হত। ঘুমনো আর পেশাগত কাজ ছাড়া সবটাই তো দলের জন্যই করি।
শান্তনু সেন বলেছিলেন সেই সময়, আরজিকর সন্দীপ ঘোষের হাত ধরে যে রসাতলে গিয়েছিল সঠিক খবরটি সঠিক জায়গায় যায়নি। তবে ওই আন্দোলনকে কোনও ব্যক্তি বিশেষের পক্ষে মদত দিয়ে করা সম্ভব নয়। আমি ভিক্টিমাইজড হয়েছি। আমার মেয়ে ভিক্টিমাইজড হয়েছে। তারপরেও দলের স্বার্থে কোথাও বলিনি। আরজিকরের ঘটনার পরে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছিলাম যাতে বোঝানো যায়। এটা ছিল স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন।
তিনি বলেছিলেন, কোনও বড় স্ক্যামও করিনি। কোথাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধরা পড়িনি। যেটুকু যা কাজ করেছি তা দলের পক্ষে করেছি।
তিনি বলেছিলেন, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারাই বলতে পারবেন। আমি কোনও পদাধিকারির বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি যা করেছি সবটা দলের ভালোর জন্য় করেছি। আজও সকালে দলের সমর্থনে কথা বললাম।
শান্তনু বলেছিলেন, অভিষেক কি দলের বাইরে নাকি! মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমাদের নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে সংগঠন তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কোনও বিভাজন করব না। প্রথমে তো ভাবতে সময় লাগবে আমি কেন সাসপেন্ড হলাম।