‘নিউ মার্কেট সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে’, বিধানসভায় বড় ঘোষণা করলেন ফিরহাদ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মার্চ ২০২৫
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী নিউ মার্কেট সংস্কারের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। বিধানসভায় আজ, সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে জানালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর এই মার্কেট সংস্কার করার জন্য ২৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। এই নিউ মার্কেট সংস্কারের কাজে সাহায্যের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বিধানসভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই কাজে সাহায্য করার জন্য ৬৪ হাজার ৮২৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। এবার তা শুরু হবে।
এদিকে আজ বেআইনিভাবে জমি জখল নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তার জবাবে ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, বেআইনিভাবে জমি দখল বরদাস্ত করা হবে না। তারপরই নিউ মার্কেট সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত জানান মন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ ২০২৩ সালে নিউ মার্কেট সংস্কার ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিযুক্ত করা হয়েছে। কনসালটেশন ফি হিসেবে তাদের ৬৪ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার বেশি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওখানের বিশেষজ্ঞরা চূড়ান্ত পরিকল্পনা দিলেই সেটা রূপায়ণের কাজ শুরু হবে।’
অন্যদিকে নিউ মার্কেটে দীর্ঘদিনের হকার সমস্যা মেটাতেও রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করছে বলে জানিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। হকার উচ্ছেদ অভিযানের সময়ও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। নিউ মার্কেট সংস্কারের জন্য কোন পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার? প্রশ্ন করেন কান্দির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর বক্তব্য,‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে আগেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।’ ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের মন্ত্রী হলেও কলকাতা পুরসভার মেয়রও। নিউ মার্কেট সংস্কারের কাজের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা ও পদক্ষেপ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা।
এছাড়া নিউ মার্কেটের বাড়তি আকর্ষণ ক্লক টাওয়ার। এটি এই সংস্কার প্রকল্পের আওতায় কেমন করে মেরামত করা যায় সেটা খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ দল। আর ভবনের স্থায়িত্ব আরও বৃদ্ধি করতে মাটির নীচে চারপাশে ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ টাই বিম বসানোর সুপারিশ করেছেন যাদবপুরের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা। তার ফলে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ভবনটি নিরাপদ থাকবে। এটা ঐতিহ্যবাহী বিপণিকেন্দ্র। ভারতের ভূমিকম্পপ্রবণ শহর হিসেবে কলকাতার নাম অনেক উপরের দিকে উঠে এসেছে। তাই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সিসমিক ওয়াল নির্মাণ করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।