• ‘বেআইনিভাবে জমি দখল বরদাস্ত করা হবে না’‌, বিধানসভায় শঙ্করকে জবাব ফিরহাদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মার্চ ২০২৫
  • শহর থেকে জেলায় বেআইনিভাবে জমি দখল করার অভিযোগ বারবার উঠেছে। শহরে ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তবে এই বেআইনিভাবে জমি দখল করার যে কাজ সেটা বন্ধ হয়নি। এটা চোরাগোপ্তা এখনও চলছে বলে অভিযোগ। অনেক সময় এই জমি দখল এবং জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণের খবর ‘‌টক টু মেয়র’‌ অনুষ্ঠানে ফোন করে অনেকে অভিযোগ জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবার বাংলায় কোনও বেআইনিভাবে জমি দখল বরদাস্ত করা হবে না বলে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে জানালেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে এমন কথাই জানান মন্ত্রী।

    বেআইনিভাবে জমি দখল করার অভিযোগ বারবার উঠেছে। এই জমি দখল বেআইনি পথে হচ্ছে বলেই অবৈধ নির্মাণও বাংলায় হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেআইনিভাবে জমি দখল করে প্রোমোটিং করার অভিযোগ শুনতে হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। এমনকী শহর থেকে জেলায় হকাররা জায়গা ‘জবরদখল’ করে ব্যবসা করছে এমন অভিযোগও উঠেছে। বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা একের পর এক ঘটেছে এই বাংলায়। এইসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বেআইনিভাবে জমি দখল করা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। আজ, সোমবার এই বিষয়টি বিধানসভায় তোলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বেআইনিভাবে জমি দখল করা নিয়ে তাঁর এক প্রশ্নে ফিরহাদ বলেন, ‘‌রাজ্য সরকারের জমি নীতি মেনে নিলাম ছাড়া অথবা মন্ত্রিগোষ্ঠীর অনুমোদন ছাড়া কোনও জমি কেউ দিতে পারবে না।’‌


    একবছর আগে বেআইনিভাবে জমি থেকে শুরু করে জলাশয় এবং ফুটপাত দখল নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে তখন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তারপর ফুটপাথ ‘দখলমুক্ত’ করার অভিযান শুরু হয়। ওই বৈঠকেই উঠে আসে বেআইনি পার্কিং ইস্যু। মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছিলেন, তাঁর সরকার কোনও ভাবেই বেআইনি পথে জমি, জলাশয়, ফুটপাত দখল বরদাস্ত করবে না। বেআইনি দখল করা জায়গা মুক্ত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী বেআইনিভাবে দখল করা জমি নিয়ে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেন। সেই সমীক্ষার পর ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়।

    সরকারি জমি থেকে শুরু করে ফাঁকা স্থান দখল হটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বেআইনিভাবে জমি দখল করার চেষ্টা এখনও চলছে বলে অভিযোগ। কলকাতা–সহ সারা রাজ্যে বেআইনিভাবে দখল করা পথ এবং জমি খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করা হয়। পরিকল্পনা করে যাতে এই দখল মুক্ত করা যায় সেই নির্দেশই আগে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তখন আবার বিরোধীরা সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, মানুষের জীবন–জীবিকার উপর হাত দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রশাসনের একাংশ টাকার বিনিময়ে বেআইনি দখলকে ইন্ধন দিচ্ছে। আজ এইসব অভিযোগ পুরমন্ত্রী উড়িয়ে দিয়ে বিধানসভায় ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘‌বেআইনিভাবে জমি দখল বরদাস্ত করা হবে না।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)