• রবীন্দ্র সরোবরের দ্বীপকে বাঁচাতে বিশেষ পরিকল্পনা, ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ কেএমডিএ'র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মার্চ ২০২৫
  • দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস বলা হয় রবীন্দ্র সরোবরকে। আর সেখানে এখন নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি গাছ আছে যেগুলি ভেঙে পড়েছে। আবার রাস্তা যা রবীন্দ্র সরোবরের মধ্যে রয়েছে সেগুলি অনেক জায়গায় ভাঙা। তাই মেরামত করা প্রয়োজন। বসার জন্য বহু আসন আছে যা ভাঙাচোরা। আর তার মধ্যে একটি দ্বীপ আছে যেটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। এই সব কাজ করার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা করেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ‌।

    এদিকে ঢাকুরিয়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে রবীন্দ্র সরোবরের দিকে গেলে জলের মাঝে ওই দ্বীপ সবার চোখে পড়ে। এখন ওই দ্বীপটির অবস্থা খুব খারাপ। ওই দ্বীপ এখন শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রচুর গাছ মরে পড়ে আছে। যা দেখতেও বাজে লাগছে। তাই এই দ্বীপ–সহ লেকের ভিতরে যত কাজ আছে তা সারিয়ে তুলতে চায় কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে প্রাতঃভ্রমণকারীদের একটা অংশ কেএমডিএ’‌কে জানিয়ে ছিলেন। তারপর তা খতিয়ে দেখা হয়। আর খতিয়ে দেখতেই সমস্ত তথ্য হাতে চলে আসে। এখন তাই ওই দ্বীপকে বাঁচাতে গাছ লাগানোর কথা ভাবা হয়েছে।

    অন্যদিকে ওই দ্বীপে প্রচুর পাখি আসে। তাই তাদের বিষ্টা পড়ে আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে রবীন্দ্র সরোবরে জলের মধ্যে থাকা দ্বীপটির। সেখানে যাতায়াত করা সেভাবে হয় না বলেই সাপের উপদ্রব হয়েছে বলে খবর। আর সেসব বিষধর সাপ কামড়ালে প্রাণ যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সেখানে উদ্ভিদের বীজ ও সার মিশ্রিত গোলাকৃতি বস্তু ফেলা হবে। যাকে এককথায় ‘‌সিড বল’‌ বলা হয়। ওই সার মিশ্রিত বল থেকেই জন্মাবে নতুন গাছ। এখানকার গাছগুলি মরে গিয়েছে। শুকিয়ে গিয়ে ডালপালা ভেঙে পড়ছে। আগাছার জঙ্গল, ঝোপঝাড় সৌন্দর্য নষ্ট করেছে। বিষাক্ত সাপের বসবাস বেড়েছে। আর দ্বীপের ধারের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে বলে খবর।

    এছাড়া দ্বীপের মেরামত–সহ গাছপালা, সবুজায়ন, পথঘাট সবকিছুর কাজ করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করেছে কেএমডিএ। আর কেএমডিএ সূত্রে খবর, ওই দ্বীপে প্রচুর পাখি আসে। পাখির বিষ্ঠায় অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওখানে এখন সাপ, বিষাক্ত পোকামাকড় রয়েছে। তাই ওখানে মানুষ দিয়ে আগাছা পরিষ্কার এবং নতুন গাছ লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই পরিবর্তে নতুন গাছপালা লাগাতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। নৌকা করে গিয়ে ওই দ্বীপে সারমিশ্রিত গাছের বল ফেলা হবে। ওই গাছের বল থেকে একাধিক গাছ জন্মাবে। তার জন্য একটি প্রজেক্ট রিপোর্টও তৈরি করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)