সুজয় মুখোপাধ্যায়
ইফতারে যোগ দিতে সোমবার ফুরফুরা শরিফ গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুরফুরা যাওয়ার আগে রাস্তায় কনভয় থামিয়ে পীরজাদা আবু বক্কর সিদ্দিকির মাজারে উপস্থিত হন তিনি। সেখানেই রাস্তার পাশে এক খাবারের দোকানদারকে বিশেষ পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পায়ে হেঁটেই মাজারে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাওয়ার পথে রাস্তার ধারেই দেখতে পান এক খাবার বিক্রেতাকে। ভিন্ন রঙের মোরব্বা, হালুয়া, গজা বিক্রি করছিলেন প্রবীণ বিক্রেতা ইসমাইল মুফতি। প্রতিটি খাবারই পাত্রের উপরে রেখে খোলা হাওয়ায় বিক্রি করা হচ্ছিল। সেটা চোখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর। বিক্রেতাকে দেখেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো আছেন সব। কী বিক্রি করছেন? ঢাকা দিয়ে বিক্রি করুন।’
মাজারে যাওয়ার রাস্তাতেই প্রায় ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছেন ইসমাইল মুফতি। রোজা চলার কারণে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে এসে কথা বলায় খুশি বিক্রেতা। তাঁর পরামর্শ শুনবেন বলেও জানান সেই বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে জানতে চাইলেন কী কী বিক্রি করি। মাছি বসে বলে খাবার ঢেকে রাখার কথা বলেছেন।’ তাঁর দোকান থেকে কিছু কিনতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এক গাল হেসে বিক্রিতা বলেন, ‘না, উনি কিছু চাননি। মোরব্বা খেতে চাইলে নিশ্চয়ই ওঁকে খাওয়াতাম।’
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সোমবার তৃতীয়বারের জন্য ফুরফুরা শরিফ যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ অন্যান্য সরকারি শীর্ষ আধিকারিকেরা। তাঁর উদ্যোগেই ফুরফুরায় নির্মাণ করা হয়েছে মেহমানখানা। সেখানেই প্রায় ন’বছর পর ইফতারে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রোটোকল ভেঙে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে বহুবার দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এ দিনেও তাঁর অন্যথা হলো না।