• আবাসের টাকা পেয়েও শুরু হয়নি বাড়ি তৈরির কাজ, প্রশাসনের নজরে ৬৪০ জন উপভোক্তা
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে গেলেও, বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি কিছু উপভোক্তা। প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে সতর্ক করল ঘাটাল প্রশাসন। গত দু’দিন ধরে প্রধান, উপপ্রধানদের সঙ্গে নিয়ে ঘাটাল ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুমনা সর্দার এবং সহ-সভাপতি বিকাশ কর। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে উপভোক্তাদের জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত। কিন্তু তার আগে যে কাজের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেউ যদি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে না চান, সেক্ষেত্রে কিস্তির টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, ঘাটাল ব্লকে  আবাসের বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন ৫৩৬৪ জন। ডিসেম্বর মাসে প্রত্যেকেই বাড়ি তৈরির জন্য ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৪০ জন উপভোক্তা এখনও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি। প্রথম কিস্তির প্রায় তিন মাস পূর্ণ হতে চললেও, বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছে ঘাটাল প্রশাসন। এই ঘটনায় ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘যাঁরা আবাসের টাকা পেয়েছেন, তাঁদেরকে দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করার বলা হয়েছে। উপভোক্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবেন বলে কথা দিয়েছেন। কাজ শুরু হলেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও পেয়ে যাবেন।’

    এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিকাশ কর বলেন, ‘ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির মোহনপুর, সুলতানপুর, আজবনগর এবং দেওয়ানচক-১ মিলিয়ে ৬৪০ জন উপভোক্তা আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও বাড়ির কাজ শুরু করেননি। আমরা তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে প্রশাসন কী ভাবছে, সেটা আমরা প্রত্যেককে জানিয়ে দিয়েছি।’ ব্লক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রথম কিস্তির ৬০ টাকা পাওয়া সত্ত্বেও মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০২ জন, সুলতানপুরের ১৪০ জন, দেওয়ানচক-১’র ১১৪ জন এবং অজবনগরের ৮৪ জন উপভোক্তা আবাস তৈরির কাজে কোনও উদ্যোগ নেননি। কারণ জানতে চাওয়া হলেও, কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিকাশ।

    তথ্য সহায়তা: মণিরাজ ঘোষ

  • Link to this news (এই সময়)