• এক বছরে নিখোঁজ আটশো নাবালিকা, কারণ জানলে চমকে যাবেন 
    আজকাল | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি:‌ হুগলি জেলায় নাবালিকা নিখোঁজ ও বাল্যবিবাহের বহর দেখে উদ্বিগ্ন জাতীয় মহিলা কমিশন! এক বছরে নিখোঁজ নাবালিকার সংখ্যা আটশো। মোবাইল ফোন ব্যবহারই কারণ বলছেন তাঁরা। গত কয়েক মাসে নিখোঁজ হয়েছে শতাধিক নাবালিকা। পাশাপাশি বেড়েছে স্কুলপড়ুয়া কিশোরীদের বাল্যবিবাহের ঘটনা। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার হুগলি জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। চুঁচুড়া সার্কিট হাউসে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার, হুগলির অতিরিক্ত জেলা শাসক (ডেভেলপমেন্ট), হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, হুগলি জেলার বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে নাবালিকাদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মূলত দেখা যাচ্ছে মোবাইল ফোনের কারণে নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই অবস্থায় অভিভাবকদের আরও কঠোর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বাচ্চারা ফোনে কি ব্যবহার করছেন সেই দিকে নজর রাখা দরকার। পাশাপাশি বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে নাবালিকা যেমন হোমে থাকে, অভিভাবকদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। পুলিশকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে অভিভাবকদের জেল পর্যন্ত হতে পারে। তিনি বলেছেন, বিশেষ করে আরামবাগ মহকুমায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেড়েছে। এই সমস্যা রোধে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সচেতনতা মূলক শিবির আয়োজন এবং স্কুলে বিশেষ পাঠ্যক্রম চালু করার বিষয়ে নজর দিতে হবে। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে তিনি জোর দিয়ে বলেন, গত এক বছরে হুগলি জেলায় ৮০০–র বেশি নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এই ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্চনা মজুমদার।

    ছবি:‌ পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)