• ‌আড়াই মাস কেটে গেলেও রাজ্যের সিইও নিয়োগ হয়নি, বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • এখন রাজ্য–রাজনীতির বড় ইস্যু ‘‌ভূতুড়ে ভোটার’‌ ধরা। এই ‘‌ভূতুড়ে ভোটার’‌ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি মেনে নিয়েছে। সুতরাং প্রবল চাপে আছে বিজেপি। এই আবহে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ‌ পদ থেকে অবসর নিয়েছেন আরিজ আফতাব। তারপর আড়াই মাস কেটে গিয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন এখনও সিইও পদে কাউকে নিয়োগ করেনি। আর এবার তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন।

    এই নিয়োগ এখনও পর্যন্ত না হওয়ায় বিজেপি চক্রান্ত বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদের জন্য রাজ্য সরকারকে এক বা একাধিক নামের প্যানেল পাঠাতে হয়। সেই তালিকা থেকে একজনকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে বেছে নেয় নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত দু’‌বার নবান্ন থেকে তালিকা গিয়েছে। কিন্তু ওই দু’‌বারই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নামের তালিকা বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখন ‘‌ভূতুড়ে ভোটার’‌ ধরতে শহর থেকে জেলায় নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে ভার্চুয়াল মেগা বৈঠকে টোটকা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


    আর ওই বৈঠকের পর থেকে প্রত্যেক জেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বঙ্গ–বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই রাজ্য সরকারের পাঠানো নামের তালিকায় বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির পক্ষ থেকেও কয়েকটি নাম পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কেউ রাজ্যের সিইও হন কিনা এটাই দেখার। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‌মোদী সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের মতো নিরপেক্ষ সংস্থাও বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাই দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটারের নাম ঢুকিয়ে ওরা ভোটে জিতেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের চুরিটা ধরে ফেলেছে।’‌

    আজ, সোমবার দিল্লিতে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বাড়িতে বৈঠক করছেন কয়েকজন সাংসদ–সহ নেতারা। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে কিছু একটা করে দেখাতে চায় গেরুয়া শিবির। তাই দ্রুত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা প্রয়োজন বাংলায়। এই বিষয়ে জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, ‘মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে বিজেপি নিজেদের পছন্দের লোক বসাতেই পারেন। কিন্তু ভোট তো দেবেন বাংলার মানুষ। ফলে এখানে বিজেপির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুরিটা ধরে ফেলেছেন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)