এই সময়: ২০২৪–এর এপ্রিল থেকে ভুবনেশ্বর এবং নাগপুরের পাসপোর্ট অফিস পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ‘ই–পাসপোর্ট’ ইস্যু করা শুরু করেছিল। নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে আগামী দিনে ভারতে ই–পাসপোর্ট বা বায়োমেট্রিক পাসপোর্টই ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাকে বলে ই–পাসপোর্ট?
কী ভাবে কাজ করবে পাসপোর্টে বসানো ইলেকট্রনিক চিপ? এর জবাব দিয়েছেন কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার (আরপিও) আশিস মিদ্দা। সোমবার মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি বলেন, ‘আমরা এতদিন যে পাসপোর্ট ব্যবহার করে আসছি তার সঙ্গে ‘ই–পাসপোর্ট’–এর একটাই ফারাক। ই–পাসপোর্টে একটি ইলেকট্রনিক চিপ থাকে। ওই চিপে স্টোর থাকবে পাসপোর্ট–ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক ডেটা। সঙ্গে থাকবে একটি ডিজিটাল ছবিও।’
আরপিও জানিয়েছেন, এমন নয় যে ই–পাসপোর্টের ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে বলে পুরোনো, কাগজের পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে। আপাতত দু’ধরনের পাসপোর্টই সমান্তরাল ভাবে চলবে। তবে যাঁরা পুরোনো পাসপোর্টের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নতুন পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করবেন, তাঁরা ই–পাসপোর্ট হাতে পাবেন। যাঁরা এখন নতুন পাসপোর্টের আবেদন করছেন, তাঁরা ই–পাসপোর্টই পাচ্ছেন।
পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা পৃথিবীতে নতুন নয়। বহু বছর ধরে জালিয়াতরা পাসপোর্স জাল করার নতুন নতুন উপায় বার করে বিভিন্ন দেশের প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত করেছে। হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি প্রশাসনও। জালিয়াতদের ঠেকাতে পাসপোর্টকে যতটা সম্ভব ‘নিরাপদ’ করার ব্যবস্থা করে চলেছে প্রশাসন।
সেই পথেই এসেছে ই–পাসপোর্ট। বৈদ্যুতিন চিপে আঙুলের ছাপ, ফেসিয়াল রেকগনিশন, রেটিনা রিডিং–সহ নানা ধরনের তথ্য মজুত থাকায় সেগুলি জাল করা খুবই কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে শুধু পাসপোর্ট ব্যবহারকারীই নিরাপদ হবেন না, দেশের নিরাপত্তাও মজবুত হবে।