• পাশাপাশি শুভেন্দু-সুকান্ত, পদ্ম-বনে দূরত্ব ঘোচার পথে?
    এই সময় | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, নয়াদিল্লি: বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো থাকবেন না, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করুন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করার জন্য একজোট হয়ে মাঠে নামুন— বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের কাছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে আগেই৷ তারই প্রতিফলন কি দেখা গেল সোমবার সন্ধেয় দিল্লিতে?

    বঙ্গ বিজেপির দুই প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে দীর্ঘক্ষণ দেখা গেল পাশাপাশি। পুষ্পস্তবক দিয়ে একজন অন্যজনকে অভ্যর্থনা জানালেন, ব্যাডমিন্টন কোর্টেও দেখা হলো দু’জনের। অথচ গেরুয়া শিবিরের একটা বড় অংশের পর্যবেক্ষণ, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কখনও বাংলায় বিধানসভায় গেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর সঙ্গে অনেক সময়েই সাক্ষাৎ হয় না তাঁর।

    এমনকী প্রকাশ্য কর্মসূচিতেও দু’জনকে পাশাপাশি খুব কম সময়েই দেখা যায়। সে সব সরিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দিল্লির সরকারি বাংলোয় আয়োজিত ঘরোয়া বৈঠকে বসলেন শুভেন্দু৷ সুকান্তাঁতর বাসভবনে ঢোকার সময়ে শুভেন্রদুর হাতে ছিল গেরুয়া ফুলের তোড়া। ততক্ষণে সুকান্তর বাড়িতে হাজির বঙ্গ বিজেপির অন্য সাংসদরাও।

    রাজু বিস্ত, জগন্নাথ সরকার, সৌমিত্র খাঁ, জয়ন্ত রায়, সৌমেন্দু অধিকারী, খগেন মুর্মু থেকে শমীক ভট্টাচার্য— প্রত্যেকেই ফোকাসড তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার জন্য৷ এর আগে এ দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা করেছেন শুভেন্দু ও সুকান্ত।

    আলোচনার প্রতিটি পর্যায়েই একে অন্যের প্রশংসা করেছেন। এক বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘দিন তিনেক আগেও যে বৈঠক কল্পনা করা কার্যত অবাস্তব ছিল, সেই বৈঠক অবশেষে হয়েছে, তা-ও আবার দিল্লিতে রাজ্য সভাপতির বাড়িতে বসে। এটাই বড় প্রাপ্তি। এখান থেকে ভালো কিছুর আশা করা যেতেই পারে।’

    সূত্রের দাবি, এই বৈঠকে সংসদে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের পারফরম্যান্স নিয়ে ঘরোয়া ভাবে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে৷ রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারই ২০২৬-র বিধানসভা ভোট পর্যন্ত বহাল থাকতে পারেন, এমন একটা জল্পনা রয়েছে পদ্ম শিবিরে।

    এই আবহেই সুকান্ত-শুভেন্দুর এই বৈঠক আসলে দুই তরফের বরফ গলানোর জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মরিয়া চেষ্টা, এমনটাও দাবি করা হচ্ছে দলীয় সূত্রে। পরে সুকান্ত বলেন, ‘এটা আমাদের সবার গেট টুগেদার। বাংলাকে সোনার বাংলা বানানো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

  • Link to this news (এই সময়)