• নিঃসন্তান মেয়েকে নাতি উপহার দিতে শিশু চুরি করানোর অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • নিঃসন্তান মেয়েকে নাতি উপহার দিতে শিশু চুরি করানোর অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। অবাক করা এই ঘটনা কলকাতার ট্যাংরা এলাকার। এই ঘটনায় শিশু চুরির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৯ মাসের শিশুপুত্রকে। তবে দম্পতির দাবি পুরোপুরি হজম হচ্ছে না পুলিশ আধিকারিকদের। তাই তাঁদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন তাঁরা। 

    গত ১৩ মার্চ পার্ক স্ট্রিটে ফুটপাথবাসিনী এক মহিলার ৯ মাসের শিশুপুত্র নিখোঁজ হয়ে যায়। ছেলেকে কোলে নিয়ে পার্ক স্ট্রিট চত্বরেই ভিক্ষাবৃত্তি করতেন ওই মহিলা। পুলিশকে তিনি জানান, দিন কয়েক আগে নারকেলডাঙা খালপাড়ের বাসিন্দা পারভিন বিবি নামে অরেক ভিক্ষুক তাঁর সঙ্গে গায়ে পড়ে ভাব জমান। এর পর কয়েকদিন  ২ জনে একসঙ্গে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন। গত ১৩ মার্চ ছেলেকে কোলে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে পারভিন বিবি শিশুটিকে কোলে নেন। এর পর কাছ থেকেই ঘুরে আসছি বলে সেই যে তিনি বেপাত্তা হলেন আর তাঁর টিকির পাত্তা হাওয়ার যায়নি। এর পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির মা। 

    তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন মহিলার নাম পারভিন বিবি। কিন্তু নারকেলডাঙা খালপাড়ে গিয়ে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডে একটি জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে সে। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। 

    জেরায় ধৃত পারভিন বিবি জানান, তাঁকে শিশু চুরির বরাত দিয়েছিলেন মিয়াজান রোডের বাসিন্দা রাজেশ সিং ও তাঁর স্ত্রী বিউটি। শিশুটিকে চুরি করার পর সেদিনই ওই দম্পতির হাতে তাকে তুলে দিয়েছেন পারভিন। তার বদলে তাঁকে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও টাকা এখনও পাননি তিনি। 

    সেখানে গিয়ে শিশুটির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। শিশু চুরির অভিযোগে দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ধৃতরা জেরায় যা দাবি করেন তাতে অবাক পুলিশ আধিকারিকরাও। দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের বড় মেয়ের বেশ কয়েকবছর আগে বিয়ে হলেও এখনও সন্তান হয়নি। সেজন্য শ্বশুরবাড়িতে তাঁর ওপরে নির্যাতন হয়। বড় মেয়েকে নাতি উপহার দেওয়ার জন্য শিশুটিকে চুরি করিয়েছেন তাঁরা। 

    তবে দম্পতির এই দাবি বিশ্বাস হচ্ছে না পুলিশ আধিকারিকদের। তাঁদের অনুমান, কোনও শিশুপাচার চক্রে যুক্ত থাকতে পারেন তাঁরা। সেজন্য দম্পতির বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। তাঁদের বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)