চৈত্রের গরম থেকে স্বস্তি দিতে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী! কবে, কোথায়? জানাল হাওয়া অফিস
প্রতিদিন | ১৮ মার্চ ২০২৫
নিরুফা খাতুন: চৈত্রের শুরু থেকেই চড়া রোদে হাসফাঁস দশা পথচলতি মানুষজনের। এখনই গোটা দিন পথেঘাটে থাকলে ঘর্মাক্ত হতেই হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ নাকি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাপিয়ে যাবে! এমন সব পূর্বাভাসে যখন আমজনতার মাথাব্যথা বাড়ছে, ঠিক সেসময়ই কিন্তু নতুন খবর দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। চৈত্রের এই তেতেপুড়ে যাওয়া গরম থেকে স্বস্তি দিতে সপ্তাহের মধ্যভাগে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী! দক্ষিণবঙ্গে পাঁচ জেলায় আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
অসম ও হরিয়ানায় রয়েছে জোড়া ঘুর্ণাবর্ত। জোড়া অক্ষরেখার দাপট। একটি অক্ষরেখা রয়েছে ছত্রিশগড় থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত। অন্য অক্ষরেখাটি কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু উপকূল এলাকায়। বুধবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে চলেছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। আর এই ত্রিফলায় বাংলাতেও হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। বৃহস্পতি-শুক্রে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। তাতে তাপমাত্রায় পারদ পতনের সম্ভাবনা অন্তত চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। তবে এখনই বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বৃহস্পতি থেকে রবিবার পর্যন্ত চলবে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি। তবে মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না। দিনে বেশ গরম অনুভূত হবে, রাতেও জারি থাকবে অস্বস্তি।
কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৮ থেকে ৯১ শতাংশ। আংশিক মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিকের নিচে। তবে রাতের উষ্ণতায় কোনও পরিবর্তন করেনি।