বিজেপির অন্দরেই কানাঘুষো, খুব দ্রুত ঘোষণা হবে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম। মঙ্গলবার নতুন করে ছড়াল জল্পনা। এ দিন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। এ দিন রাজ্য বিধানসভায় গিয়ে দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ ঘোষ। তারপরেই এই বৈঠক। বিজেপির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণার আগে এই বৈঠক যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই বলে মনে করা হচ্ছে।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ‘আমি ও শুভেন্দুদা এক সঙ্গে অনেক জায়গায় যাব। নতুন সভাপতি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। কিছু দিনের মধ্যেই ঘোষণা হবে। আমি দু-বার হয়েছি। যোগ্য ব্যক্তি যিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পারবেন, তাঁকেই আমরা সভাপতি বেছে নেব। পার্টি কখন কী দায়িত্ব দেবে, কেউ জানে না। সব সময়েই প্রস্তুত থাকতে হবে।’ তাঁর মন্তব্য, ‘আমি ইনিংসের পর ইনিংস খেলতে থাকি। একজন খেলোয়াড় সব মাঠ পিচের জন্য প্রস্তুত থাকে। পার্টি কী দায়িত্ব দেবে কেউ জানে না, খোলা মনে থাকতে হবে।’
লোকসভার পরে উপনির্বাচনেও খারাপ ফল করে বিজেপি। তার পর থেকেই সভাপতি বদলের গুঞ্জন শুরু হয় দলের অন্দরে। পাশাপাশি বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এক ব্যক্তি এক পদেই থাকেতে পারবেন। ফলে সেই নিয়মে তাঁকে রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে হতে পারে। তবে বিগত প্রায় দশ মাস ধরে বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করেনি। দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, খুব দ্রুতই নাম ঘোষণা হবে। সেক্ষেত্রে কি দিলীপ ঘোষও ফের রাজ্য সভাপতি হতে পারেন? দিলীপপন্থীদের মতে, ‘মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ, সভাপতি থাকাকালীনই একাধিক জায়গায় পদ্ম বিস্তার লাভ করেছিল। ফলে ফের তিনি সভাপতি হলে তা একটা অংশকে ফের চাঙ্গা করবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। আবার অন্য একটা অংশের মতে, ‘বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারই সভাপতি থাকতে পারেন।’ যদিও বিজেপির রাজ্য নেতাদের মুখে বাঁধাবুলি, ‘কেন্দ্রীয় নেতারাই নাম চূড়ান্ত করবেন।’