বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাসের দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, সমান কাজে সমান বেতন। তবে তার বাস্তবায়ন কোনও ভাবেই সম্ভব নয় বলে মঙ্গলবার বিধানসভায় জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কেন তা সম্ভব নয়, তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। এ দিন এক প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য জানান, পার্শ্ব শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সমকাজে সমবেতন নীতি খাটে না। শিক্ষক ও পার্শ্ব শিক্ষক পদ আলাদা, নিয়োগপদ্ধতি আলাদা। তাই সমকাজে সমবেতন এ ক্ষেত্রে হয় না। তবে রাজ্য সরকার পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য একাধিক জনহিতকর প্রকল্প রেখেছে, তার সুবিধাও প্যারা টিচাররা পান বলে জানান তিনি।
বাম আমলে পার্শ্ব শিক্ষক বা প্যারা টিচার নিয়োগ শুরু হয়। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের অধীনে সরকারি ও সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুল, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সমতা রাখার জন্য ‘পার্শ্ব শিক্ষক’ পদ তৈরি ও সেই পদে শিক্ষক নিযুক্ত করে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার। এখন রাজ্যে প্রায় ৪৪ হাজার পার্শ্ব শিক্ষক আছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক স্কুলের প্যারা টিচাররা এখন প্রায় ১০ হাজার টাকা বেতন পান। উচ্চ প্রাথমিকের প্যারা টিচাররা পান প্রায় ১৩ হাজার টাকা। তাঁদের এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-ও আছে। কিন্তু বেতন পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের বেতনের থেকে অনেকটাই কম। সেই কারণে বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা।
কিন্তু আন্দোলন-বিক্ষোভ চললেও কোনও ভাবেই স্থায়ী শিক্ষকদের সঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন কাঠামো মেলানো সম্ভব নয় বলে এ দিন জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে জানান, স্বাস্থ্যসাথী থেকে অবসরকালীন সুবিধা, নির্দিষ্ট হারে বেতন বৃদ্ধি, মহিলা প্যারা টিচারদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিক্যাল লিভ— সবই রয়েছে।