পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে ক্লিনচিট কলকাতা হাইকোর্টের, বিচারক নিয়োগের জট কাটল
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ মার্চ ২০২৫
রাজ্যের বিচারক নিয়োগ মামলায় কেটে গেল জট। আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেখানেই পাবলিক সার্ভিস কমিশন সঠিক পদ্ধতি মেনেই পরীক্ষা নিয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর এই পর্যবেক্ষণই জানিয়ে দেওয়া হয়। করা হয়। আর এই পর্যবেক্ষণের ফলে রাজ্যের নানা আদালতে বিচারক নিয়োগে যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ছিল সেসব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগে আর কোনও সমস্যা রইল না। আর পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে ক্লিনচিট দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২ সালের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পিএসসি স্বচ্ছভাবেই পরীক্ষা নিয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় মামলাকারির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তার ফলে এবার নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। ২০২২ সালে রাজ্যের একাধিক নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেয়। তারপর নিয়োগ শুরু হয়। তবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়। আর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। এই মামলা করেন একজন ওবিসি পরীক্ষার্থী। তার জেরে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি।
এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের জেরে গত দু’বছর ধরে বিচারক পদে নিয়োগ হচ্ছিল না। তাতে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তরুণ প্রজন্ম আইনি নিয়ে পাশ করেও চাকরি পাচ্ছিলেন না। এবার সেসবের জট কেটে গেল। মামলাকারীর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় বিচারকের ২৯টি শূন্যপদ পূরণ হবে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে ছিল। এবার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ কলকাতা হাইকোর্টের সামনে তুলে ধরার ফলে সেই জট কাটল। তাতে তরুণরা এই পেশায় যুক্ত হতে পারবেন। কলকাতা হাইকোর্টের আজকের পর্যবেক্ষণে একদিকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন ক্লিনচিট পেল অপরদিকে চাকরি পাবেন অনেকে।
এছাড়া আজ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। নিয়োগেও কোনও বাধা থাকছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। পিএসসির আইনজীবী জানান, ২০২২ থেকে যে নিয়োগ আটকে ছিল, সেটা এবার শুরু করা যাবে। তরুণরা এই পেশায় সহজেই আসতে পারবেন। আর বিচারক পদে নিয়োগ হলে নিম্ন আদালতগুলিতে একাধিক মামলার শুনানিতেও গতি আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।