• ‘‌টাকা, গাড়ি, মোবাইল দিন। দক্ষিণ কলকাতায় পদ নিন!’‌ বিজেপির পোস্টার পড়ল শহরে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ মার্চ ২০২৫
  • হাতে এখনও একবছর সময় রয়েছে। তারপর বাংলায় শুরু হবে বিধানসভা নির্বাচন। তাই প্রত্যেক জেলায় সংগঠন চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। যদিও জেলা সভাপতি ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গেই অশান্তি চরমে উঠছে। তা প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে। ফলে দলের সিদ্ধান্ত যে মান্যতা পাচ্ছে না জেলায় সেটা কয়েকদিনেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বাঁকুড়া, হুগলি, বসিরহাটে এমন অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। সেখানে একের পর এক পোস্টার পড়তেও দেখেছেন সাধারণ মানুষ। এবার খাস কলকাতায় পোস্টার পড়ল। যা নিয়ে এখন প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি বিতর্কে পদ্মশিবির।

    এই বিধানসভা নির্বাচনে যাতে হাঁড়ির হাল না হয় তাই সোমবার নয়াদিল্লিতে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখনও বঙ্গ–বিজেপি তাদের রাজ্য সভাপতি ঠিক করতে পারেনি। সূত্রের খবর, সামনের সপ্তাহে নাম ঘোষণা করা হবে। এই আবহে ঢাকুরিয়ায় বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা নির্বাচনী কার্যালয়–সহ নানা জায়গায় পোস্টার পড়ল। যার জেরে আবার গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। বিজেপি বাংলায় কোনও কাজ না করার জেরেই প্রত্যেক নির্বাচনে হারছে। এমন দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।


    সেখানে আজ, মঙ্গলবার সকাল হতেই যখন প্রাতঃভ্রমণকারীরা রবীন্দ্র সরোবরে আসতে শুরু করলেন তখনই ঢাকুরিয়া–সহ দক্ষিণ কলকাতার নানা জায়গায় পোস্টার দেখতে পেলেন। ওই পোস্টারে দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিংয়ের ছবি রয়েছে। এমন অজস্র পোস্টার দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে সাঁটানো হয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘‌টাকা, গাড়ি, মোবাইল দিন। দক্ষিণ কলকাতায় পদ নিন! যোগাযোগ করুন, জেলা সভাপতি এবং জেলা সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে!সৌজন্যে দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি কর্মীবৃন্দ!’‌ অর্থাৎ এই দু’‌জনই টাকা নিয়ে পদ দেন সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এই ঘটনায় বিজেপি বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এসবের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে বাংলা দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে পারে। ঢাকুরিয়ায় বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার কার্যালয়েও এই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। এই নিয়ে কোনও পক্ষের থেকে প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও। দলের বিক্ষুব্ধদের কাজ এটা সেটা সকলেই বুঝতে পারছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২৫টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আর তা নিয়ে গোলমাল এখন চরমে। টাকার বিনিময়ে পদ বিলি হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার কলকাতা শহরে টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। গতকাল নয়াদিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‌কিছু জেলায় গোলমাল হচ্ছে। তারা বিজেপির সঙ্গে খাপ খায় না। আমাদের লক্ষ্যবাংলায় শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলা।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)