রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন এখনও চলছে। প্রধান বিরোধী দলের উপস্থিতি থাকলেও তেমন জোরাল কিছু নয়। বেশ কয়েকজন সাসপেন্ড। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখন নয়াদিল্লিতে। ফিরবেন শীঘ্রই। সেখানে আগামী দু’দিন বিধানসভায় সমস্ত বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে বলে হুইপ জারি করা হয়েছে। গতকাল সেই হুইপ দলীয় বিধায়করা পেয়েও গিয়েছেন। কিন্তু কেন এমন হুইপ জারি? এই প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তর বিধায়কদের কাছে নেই। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রাখা হয়েছে। বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষ দু’দিনে একটা কিছু যে ঘটবে সেটা বুঝতে পারছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা।
এদিকে বিধানসভায় দলের সমস্ত বিধায়কদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে বলে জারি করা হয়েছে হুইপ। এই নির্দেশিকা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। আগামী দু’দিন বিধানসভা অধিবেশন চলার পর তা শেষ হবে। আর ঠিক তার পরদিন ২১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লন্ডন সফর রয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে যাবেন। তাই হয়তো বিধায়কদের ডেকে করণীয় কাজগুলি বাতলে দেবেন তিনি। কিন্তু তার জন্য কি হুইপ জারি করা প্রয়োজন? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হুইপ জারি করা হল। তাও আবার মাত্র তিন লাইনে। এই হুইপ না মেনে কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হতে পারে।
অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, বিধানসভায় শাসকদলের সমস্ত বিধায়করা অধিবেশনের সময় আসেন না। অনুপস্থিত থাকেন। আবার অনেকে সই করে চলে যান। এমন তথ্যই সম্প্রতি পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। যার পরই কড়া নির্দেশিকা এসেছিল বিধায়কদের কাছে বলে সূত্রের খবর। এখন আবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট নন দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এবং পরিষদীয় দল। তাই তাঁকে বিধানসভায় সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। সুতরাং এই দু’দিনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এছাড়া বিধানসভার বর্ধিত বাজেট অধিবেশন শেষ হবে আগামী ২০ মার্চ। আর ১৯ মার্চ বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সুতরাং এই দু’দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আবার ১৯ মার্চই স্বাস্থ্য বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা। তাই সকল দলীয় বিধায়কের উপস্থিত থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ বিজেপি ঝামেলা পাকাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ২০ মার্চ অর্থ বিল পাশের কথা আছে। কাই ভোটাভুটির প্রস্তুতি হিসেবে এই হুইপ জারি করা হয়ে থাকতে পারে। এমনকী শিক্ষা দফতরের একটি বিলও আসতে পারে বলে সূত্রের খবর।